সভা সেরে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছেন। ফাঁকা-ফাঁকা মঞ্চে এক ব্যক্তিকে ঘুরে বেড়াতে দেখে কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে বচসা জুড়ে দিলেন। দেখতে দেখতে বচসায় জুড়ে গেলেন বক্তৃতা শুনতে আসা আরও অনেকে। ওই ব্যক্তিকে গ্রামেও নিয়ে গেল উত্তেজিত জনতা। শেষে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে আটক করল। বুধবার ওন্দার পুনিশোলের নতুনগ্রামের ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটি বেসরকারি লগ্নি সংস্থার ওই কর্মকর্তা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এ দিন সভায় তাঁকে দেখতে পেয়ে তাঁরা আমানতের টাকা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান। ওই ব্যক্তি আগে সিপিএম করলেও কয়েক বছর আগে দল তাঁকে বহিষ্কার করে। গত কয়েকবছর ধরে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে খবর।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা ওই সংস্থার এজেন্ট মাসুদ দালাল, আয়ুব আলি খান, মকবুল খানদের দাবি, ‘‘সারদা-কাণ্ডের পরই ওই বেসরকারি লগ্নি সংস্থার বাঁকুড়ার অফিসেও ঝাঁপ পড়ে। ওই ব্যক্তির বাড়ি ওন্দায় হলেও তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি, ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এ দিকে বহু এজেন্ট তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিলেও আমানতকারীদের ফেরত দিতে না পেরে এলাকা ছাড়েন।’’ তাই এ দিন তাঁকে ফের ওই মঞ্চে দেখতে পাওয়ায় তাঁরা ছেঁকে ধরে টাকার দাবি করতে থাকেন।
খবর যায় পুলিশের কাছে। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণ করতে পুনিশোল ফাঁড়ির পুলিশ গ্রামে যায় ও ওই ব্যক্তিকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ফাঁড়িতে গিয়েও এজেন্ট ও আমানতকারীরা টাকা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ওন্দা ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই ব্যক্তি তৃণমূলের কোনও পদে নেই। নিজের উদ্যোগেই বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করে বেড়াচ্ছিলেন।” তৃণমূল প্রার্থী অরূপ খাঁয়ের সঙ্গে চেষ্টা করেও ফোনে ধরা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও থানায় অভিযোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy