বেহুঁশ: তিথি ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
কীটনাশক খেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন বছর পঁচিশের এক তরুণী এবং তাঁর বছর আড়াইয়ের শিশুপুত্র।
রবিবার সকালে দুবরাজপুর থানার চণ্ডীপুরের ওই ঘটনায় তিথি ঘোষ নামে ওই তরুণীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই মেয়ে এবং শিশুপুত্রকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, শিশুটিকে প্রথমে বিষ খাইয়ে নিজে বিষ খেয়েছেন তিথি।
দু’জনই বর্তমানে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিকেল পর্যন্ত তিথি এবং তাঁর ছেলে রাজদীপের জ্ঞান ফেরেনি। ঘটনায় এখনও অবধি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।
দুবরাজপুরের কল্যাণপুর ডাঙালের বাসিন্দা, তিথির দাদা রাজেশ মণ্ডল এবং মামা শেখর ঘোষ জানান, বছর ছয়েক আগে কল্যাণপুর থেকেই দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে উত্তম ঘোষের সঙ্গে তিথির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের তিন মাস যেতে না যেতেই তিথির উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, ‘‘বহুবার মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে থানা, সবই জানে। ২০১৫ সালে একবার সদ্যোজাত শিশু ও তিথিকে জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল স্বামী, শ্বশুর ফটিক ঘোষ এবং শাশুড়ি অঞ্জলি ঘোষরা। এ দিন সকালেও ফের একই চেষ্টা করেছেন ওঁরা।’’ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তাঁরা থানায় লিখিত অভিয়োগ করবেন বলে রাজেশবাবুরা জানান।
এ দিন চণ্ডীপুরের বাড়িতে তিথির স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি— কারও দেখা মেলেনি। তাঁদের কিছু আত্মীয়ের দাবি, রাগের মাথায় তিথিই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। জ্ঞান ফেরার পরেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর পড়শিদের দাবি, প্রায়ই ওই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। কিন্তু, এ দিন ঠিক কী হয়েছে, কেউ বুঝতে পারেননি। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy