Advertisement
E-Paper

পরীক্ষার পথে মৃত দুই ছাত্র

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের দুই পড়ুয়ার। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিআইইটির কাছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃত দুই ছাত্রের নাম অমিতাভ উরিন্দা এবং সৌরভ চৌধুরী। দু’জনেরই বয়স ২২ বছর। অমিতাভের বাড়ি রামপুরহাটের বালিয়ায় এবং সৌরভ মহম্মদবাজার থানার গণপুরের বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০১:৫১
মৃত অমিতাভ উরিন্দা ও সৌরভ চৌধুরী।

মৃত অমিতাভ উরিন্দা ও সৌরভ চৌধুরী।

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের দুই পড়ুয়ার। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিআইইটির কাছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃত দুই ছাত্রের নাম অমিতাভ উরিন্দা এবং সৌরভ চৌধুরী। দু’জনেরই বয়স ২২ বছর। অমিতাভের বাড়ি রামপুরহাটের বালিয়ায় এবং সৌরভ মহম্মদবাজার থানার গণপুরের বাসিন্দা।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বন্ধু সিউড়ির এসপি মোড়ের কাছে একটি মেস বাড়িতে থেকে বেসরকারি ওই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করতেন। উভয়ের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্তপর্বের পরীক্ষা চলছে। বুধবার প্রোজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। মেস থেকে বেড়িয়ে কলেজের কাছাকাছি পৌঁছনোর সময় অন্য একটি মোটরবাইকের ধাক্কা লেগে তাঁরা ছিটকে পড়েন। তখনই মহম্মদবাজারের দিক থেকে আসা একটি ভারী লরি তাঁদের ধাক্কা মারে। মারাত্মক আহত হন দু’জনেই।

কলেজের অদূরেই দুর্ঘটনাটি ঘটায় তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন ওঁদের সহপাঠীরা। কিন্তু তাঁদের বাঁচানো যায়নি। সিউড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অভিতাভকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করানো হয় সৌরভকে।

দুর্ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দাদের বিক্ষোভ।— নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, ঘটনার প্রতিবাদে ও কলেজের সামনে স্পিডব্রেকারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ইঞ্জিনিয়ারারিং কলেজের পড়ুয়ারা। পুলিশ ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে স্পীড ব্রেকারের ব্যবস্থা করলে অবরোধ ওঠে। কিন্তু সৌরভকেও বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসক ও সহপাঠীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লড়াই থেমে যায় সৌরভেরও।

কলেজ কর্তপক্ষ দুই ছাত্রের বাড়িতে খবর দিলে সিউড়ি হাসপাতালে চলে আসেন তাঁদের বাবা-মায়েরা। কিন্তু নিজেদের একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না অমিতাভর বাবা ব্যবসায়ী প্রাশন্ত উরিন্দা। একই অবস্থা প্রান্তিক চাষি সৌরভের বাবা নারায়ণ চৌধুরী ও মা শ্যামলী চৌধুরীরও। শোকে কাতর সহপাঠীরাও। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম, রীতেশ কুমার, সুবীর দাসেরা বলেন, ‘‘তরতাজা ছেলে দু’টো চোখের সামনে এ ভাবে শেষ হয়ে গেল ভাবতে পারছি না।’’

road accident Suri students Morgram raniganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy