Advertisement
২৫ মার্চ ২০২৩

ছড়ি ঘোরাচ্ছে নতুনরা, ক্ষোভে তৃণমূল ত্যাগ

পুরভোটের মুখে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলে কংগ্রেসে যোগ দিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের এক নেতা। পুরভোটে টিকিট পাওয়ার আশা না থাকায় দল ছাড়লেন তাঁর ভাই পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরও। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর উপস্থিতিতে শনিবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের অন্যতম জেলা সম্পাদক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও পুরুলিয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায়।

কংগ্রেসে যোগ দুই তৃণমূল নেতার।—নিজস্ব চিত্র।

কংগ্রেসে যোগ দুই তৃণমূল নেতার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫ ০০:১৬
Share: Save:

পুরভোটের মুখে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলে কংগ্রেসে যোগ দিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের এক নেতা। পুরভোটে টিকিট পাওয়ার আশা না থাকায় দল ছাড়লেন তাঁর ভাই পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরও। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর উপস্থিতিতে শনিবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের অন্যতম জেলা সম্পাদক সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও পুরুলিয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। সুদীপবাবু জেলা রাজনীতিতে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরেই সুদীপবাবু তৃণমূলে উপযুক্ত সম্মান না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আর এ ক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগের তির জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর বিরুদ্ধে।

Advertisement

সুদীপবাবু একসময় তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা যুব সভাপতি পদে ছিলেন। সে প্রসঙ্গ টেনে সুদীপবাবু বলেন, “মমতাদির প্রতিবাদ-আন্দোলন দেখে তৃণমূলে এসেছিলাম। যুব সভাপতি হিসেবে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে সিপিএমের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সংগঠন করেছি। কিন্তু দল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরে আমরা পুরনো নেতা-কর্মীরাই কোণঠাসা হয়ে গেলাম। আর নতুন যাঁরা এলেন, তাঁরাই কয়েকজন এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। দলে কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশই নেই। দু’-চারজনের কথাই শেষ কথা। তাই তৃণমূল ছেলে আমার পুরনো দল কংগ্রেসেই ফিরে এলাম।” তিনি শান্তিরামবাবুকেও বিঁধেছেন। সুদীপবাবু বলেন, “বর্তমান জেলা সভাপতি জেলা কমিটি গঠনের সময় যুব সভাপতির পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়ের উপস্থিতিতে মুকুল রায় আমার নাম জেলা সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু বাধ্য হয়েই দল ছাড়তে হল।”

জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রদীপবাবুকে এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেনি। রবিবার তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। প্রদীপবাবুর অভিযোগ করেছেন, “জেলা তৃণমূলে একটা দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নেতা-মন্ত্রীদের কথায় এখন দল চলছে। কিন্তু আমি ভোটারদের কাছে দায়বদ্ধ। কাজের সমস্যা হচ্ছিল বলেই দল ছাড়লাম।” নেপাল মাহাতো বলেন, “ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরছে, এটা আনন্দের কথা।”

শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “এ সব হতাশা থেকে বলা কথা। এ সবের আমি কী জবাব দেব?” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, সুদীপবাবু আগে দলে থাকলেও ইদানীং তিনি দলের কোনও কর্মসূচিতে থাকতেন না। বেশ কিছুদিন ধরে দলের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগও নেই। তিনি জানান, পুরসভার যে সব কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ ছিল, তাঁদের এ বার টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। তাই টিকিট না পেয়ে কারও কারও ক্ষোভ হতে পারে। এতে দলীয় নেতৃত্বের কিছু করার নেই।

Advertisement

সম্প্রতি ঝালদাতেও তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েকজন কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। ঝালদা পুরভোটের জন্য কংগ্রেস যে অসম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে সদ্য দলে আসা তেমন কয়েকজনের নাম রয়েছে। পুরুলিয়া শহরে এখনও কংগ্রেস তালিকা ঘোষণা করেনি। সেই তালিকা প্রকাশের আগে আর কেউ দলে আসেন কি না, অপেক্ষায় কংগ্রেস কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.