৫০০ টাকার নকল নোট নিয়ে বাজার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বাজারে। নকল নোটের খবর পেতেই শুক্রবার সকালে তালড্যাংরা বাজারের একটি দোকানের সামনে থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে তালড্যাংরা থানার পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শুধু এই দুই যুবকই নয়, এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র থেকে থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তালড্যাংরা থানার অদূরে একটি স্টেশনারি দোকানে তালড্যাংরা ব্লকেরই লালবাঁধ গ্রামের দুই যুবক বিভিন্ন স্টেশনারি সামগ্রী কেনেন। কেনাকাটা হয়ে গেলে তাঁরা বিল মেটানোর সময় দোকানদারকে একটি ৫০০ টাকার নোট দেন। নোটটি দেখেই দোকানদারের সন্দেহ হয়। তিনি কৌশলে দোকানের সামনে ওই দুই যুবককে দাঁড় করিয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দোকানের সামনে গিয়ে ওই দুই যুবককে নকল নোটটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে তাঁরা অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেন। এর পরেই পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় গোলাম খান ও দুলাল হাসান মল্লিক নামের ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে ধনঞ্জয় কর নামের ওই দোকানদারের দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গোলাম খান ও দুলাল হাসান মল্লিককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৭৯ ও ১৮০ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, জাল নোটের এই কারবারিদের পিছনে বড় কোনও চক্র জড়িয়ে থাকতে পারে।
তালড্যাংরা বাজারের ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় কর বলেন, ‘‘ওই দুই যুবক আমার দোকান থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছিলেন। পরে তাঁরা আমাকে একটি ৫০০ টাকার নোট দেন। নোটটি হাতে নিয়েই বুঝতে পারি সেটি নকল। এর পর ওই দুই যুবককে আটকে রেখে বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।’’ ধৃত গোলাম খানের স্ত্রী সালেমা খান বলেন, ‘‘আমার স্বামী দিনমজুর। সে অন্যের কাছে টাকা ধার করেছিল। যে আমার স্বামীকে টাকা ধার দিয়েছিল সে এই নকল নোটটি আমার স্বামীকে দিয়ে ফাঁসিয়েছে। আমার স্বামী নকল নোট তৈরি বা কারবারে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।’’ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ বিষয়ে আরও বিশদে জানা যাবে। আপাতত ধৃতদের কাছ থেকে চারটি নকল ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’’