অগ্নিগর্ভ: অপহরণের পরে উত্তাল লাভপুর। গুনুটিয়া-লাভপুর সড়কে আগুন। ছবি: কল্যাণ আচার্য
বিনিদ্র রাত কাটাল লাভপুর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছড়ায় অশান্তি। লাভপুর বাসস্ট্যান্ড এবং থানার সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। বাসস্ট্যান্ডের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সিউড়ি-কাটোয়া সড়ক অবরোধ করা হয়। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত থানার সামনে জমায়েত, বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
থানার সামনের এক দোকানদার সাধন মণ্ডল, বাসস্ট্যান্ড এলাকার অলকা দাস বলেন, ‘‘সারা রাত মেয়েটির চিন্তায় ঘুমোতে পারিনি। এত বড় ঘটনা এর আগে ঘটেনি।’’
জমায়েত লাঘাটা মোড়, পুরনো বাসস্ট্যান্ডে। ছবি: কল্যাণ আচার্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতেই বিভিন্ন এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকেই বিক্ষোভে সামিল হন সে সব এলাকার বাসিন্দারাও। পুরনো বাসস্ট্যান্ড, গরুরহাট, লা’ঘাটা, বাকুল, ফুল্লরাতলাপাড়া সহ শহরের প্রতিটি প্রধান প্রধান রাস্তা, অলিগলিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়৷ দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা অনেকেই। অনেককে ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। রাস্তার ধারে সার সার ট্রাক, বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শুক্রবার সারা দিন বন্ধ ছিল শহরের বেশিরভাগ দোকানপাটও।
অভিযোগ, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ ফুল্লরা তোরণের কাছে সংবাদকর্মীরা পৌঁছতেই লাঠি, বাঁশ নিয়ে রে রে করে তেড়ে আসেন একদল যুবক। কয়েকটি মোটরবাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। সেখান থেকে উল্টো পথে বাবুপাড়ার মুখে পৌঁছতেই ফের আটকে পড়তে হয়। রাস্তায় টায়ার, গাছের ডালে আগুন ধরিয়ে পথ আটকে দেন এলাকাবাসীর একাংশ। বাসস্ট্যান্ড, থানা, সিনেমাতলা, লা’ঘাটা এবং বাকুলের মোড়েও ছিল অবরোধ, বিক্ষোভ।
অভিযোগ, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কয়েক জনও পড়ে ভোগান্তিতে। পরীক্ষাকেন্দ্রে তাদের এবং অভিভাবকদের যাতায়াতে ছাড় মিললেও, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়ে অনেকেই। চৌহাট্টা এলাকার দুই অভিভাবক বলেন— ‘‘ছেলেমেয়েরা বাসে পরীক্ষা দিতে যেত। হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টোটোতে ওদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে হয়েছে৷’’
শুক্রবার রাত পর্যন্ত পরিস্থিতি ছিল একই রকম। অবরোধ চলেছে রাস্তায় রাস্তায়। রয়েছে প্রচণ্ড উত্তেজনাও। দ্রুত অপহৃতকে খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন শহরবাসী। কঠোর শাস্তি দিতে বলা হয়েছে ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy