বসন্ত উৎসব পড়েছে রবিবার। তাই শান্তিনিকেতনে এ বার ব্যাপক জনসমাগমের আশঙ্কা রয়েছে। তার মোকাবিলায় এখন থেকেই মাঠে নামল বিশ্বভারতী এবং বীরভূমের পুলিশ-প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নিয়ে একটি বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী। সেই বৈঠকেই এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও ওয়াচটাওয়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, আমন্ত্রণ কার্ড বিলি-সহ একাধিক ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্বভারতী ও জেলা পুলিশ-প্রশাসন। প্রতিবার অভিযোগ ওঠে, বোলপুর-শান্তিনিকেতনের হোটেল-লজ মালিকদের হাতে দেদার হারে উৎসবের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে যায়। তাই উৎসবে যোগদানকারী, বিশ্বভারতীর অতিথি এবং আমন্ত্রিতদের কার্ড বিলির জন্য যথেষ্ট সতর্কতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অমিত হাজরা বলেন, “অন্যান্য বারের তুলনায় মূল আশ্রম মাঠ এবং লাগোয়া এলাকায় এ বার আরও বেশি জনসমাগম হবে বলে আমাদের আশঙ্কা। এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং অবাঞ্চিত ঘটনা এড়াতে বৈঠকে বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুবিমল পাল, এসডিও (বোলপুর) শম্পা হাজরা, এসডিপিও (বোলপুর) অম্লানকুসুম ঘোষ, দমকল ও পুরসভার প্রতিনিধি-সহ সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নিয়ে বৈঠকে বসে বিশ্বভারতী। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলে বৈঠক। বসন্ত উৎসবের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য গঠিত হয় কার্যকরী কমিটি। কমিটির সভাপতি করা হয় বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অমিতবাবুকে। কমিটিতে কর্মী, অধ্যাপক, আধিকারিক ও অধিকর্তারাও রয়েছেন। বৈঠকে অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার সিসিটিভির সংখ্যা অনেক বেশি বাড়ানো হচ্ছে। এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশিসংখ্যক ড্রপ গেট ও চেকপোস্টও রাখা হচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার, উর্দিধারীদের পাশাপাশি থাকছে সাদা পোশাকের পুরুষ ও মহিলা কর্মীরা।
বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই শান্তিনিকেতনে ভিড় অনেক বেশি হবে। তাই বসন্ত উৎসবকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য এ বার আমরা আগাম বেশ কিছু প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy