সমাগম: ২২ শ্রাবণে রবীন্দ্র-অনুরাগীদের ভিড় বিশ্বভারতীর উপাসনাগৃহে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
সূচি মেনেই কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস পালিত হল বিশ্বভারতীতে। সকালে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পরে উপাসনা গৃহে উপাসনা, রবীন্দ্রভবনে পুস্তক প্রকাশ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। বিকেলে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনে হয় বৃক্ষরোপণ। জানা গিয়েছে, গোলাপি অমলচাস গাছ লাগানো হয়েছে। কবিগুরুই এর নাম রেখেছিলেন। তাঁর প্রয়াণের পর থেকেই এই দিনে বৃক্ষরোপণের অনুষ্ঠান হয়ে চলেছে। এ বারের বৃক্ষরোপণের বৈশিষ্ট্য ছিল, সেটি বাংলাদেশ ভবনে হবে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন সহ অন্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বিকেলে বাংলাদেশ ভবনে বৃক্ষরোপণ হয়। সন্ধ্যায় লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে হয় কবিস্মরণ।
বৃক্ষরোপণ বাংলাদেশ ভবনে হলেও প্রতি বছরের মতো বিশ্বভারতীর ডিরেক্টর ক্রীড়া এবং জাতীয় পরিষেবা অধি দফতরের (পিএসএনএস) উদ্যোগে এনএসএসের সহায়তায় যে ‘সবুজায়ন’ অনুষ্ঠান হয়, সেটিও হয়েছে। বিশ্বভারতীর সুইমিং পুলের সামনে যে মঞ্চ আছে তার আশেপাশে প্রায় দু’টি গাছ লাগানো হয়েছে বুধবার। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব, পিএসএনএস-এর ডিরেক্টর, প্রোক্টর, ডেপুটি প্রোক্টর, ডেপুটি ডিন এবং শারীরশিক্ষা বিভাগের প্রধান সহ আধিকারিকেরা। বোলপুরেও একাধিক জায়গায় কবি-স্মরণে অনুষ্ঠান হয়। বোলপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং বোলপুর টাউন ক্লাবের উদ্যোগে
ক্লাবের সভাগৃহে অনুষ্ঠান হয়। কবিগুরু স্মরণে বক্তব্য রাখেন বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মিলনকান্তি বিশ্বাস। ছিলেন মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী। সঙ্গীতভবনের গবেষক পড়ুয়ারা রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। বোলপুর টাউন ক্লাবের সম্পাদক কৌশিক ঘোষ জানান, কবিগুরু স্মরণে গান, পাঠ, আবৃত্তি, শ্রুতিনাটক হয়। দর্শকাসন ভর্তি ছিল।
বোলপুর টাউন লাইব্রেরি হলে ভারত ও বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘পুনশ্চ’। এ দিনের অনুষ্ঠানে ‘পুনশ্চ’-এর অগস্ট সংখ্যা এবং অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় রচিত বই ‘জাগৃতি’ প্রকাশিত হয়। ‘পুনশ্চ’ থেকে ‘রবীন্দ্র স্মৃতি’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ১৩ জনকে। বোলপুর সাহিত্য সংসদ এবং বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে চৌরাস্তা, সুপার মার্কেটের সামনে এবং ডাকবাংলোর ভিতরে থাকা রবীন্দ্রমূর্তির কাছে অনুষ্ঠান হয়। মূর্তিতে মালা দেন পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অন্য দিকে, সাঁইথিয়া পুরসভার উদ্যোগে পালিত হল ২২ শ্রাবণ। বুধবার মন্ত্রোচারণ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মালা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সাঁইথিয়া পুরসভার কর্মীরা। মাল্যদান করেন পুরপ্রধান বিপ্লব দত্তও। বিকেলে সাঁইথিয়া পুরসভার পক্ষ থেকেই রবীন্দ্র ভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক প্রশান্ত ঘোষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy