বিশ্বভারতীর ছাত্রী ও তাঁর অভিভাবকদের মারধরের অভিযোগ উঠল মেসবাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। শান্তিনকেতনের রতনপল্লি এলাকার এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মারধরের একটি ভিডিয়ো-ও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। চুক্তির মেয়াদের আগেই মেস ছেড়ে দেওয়ায় মালিকের দাবিমতো মোটা টাকা না দেওয়াতেই হামলা বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর। এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্তরা।
বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কন্যাকি দাস পড়াশোনার জন্য রতনপল্লিতে আরও দু’জনের সঙ্গে একটি মেসে থাকতেন। রবিবার সেই বাড়ি ছাড়়ার সময় মালিক কস্তুরী দাশগুপ্ত এবং তাঁর স্ত্রী ফল্গুশ্রী হামলা চালান বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর। কন্যাকির আরও দাবি, তাঁর মা-বাবাকেও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এর পর শান্তিনিকেতন থানায় তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ছাত্রীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ির মালিকের সঙ্গে তাঁদের বিবাদ চলছিল। রবিবার বাড়ি ছাড়ার সময় তাঁদের একটি সাদা কাগজে সই করতে বলেন মালিক কস্তুরী দাশগুপ্ত। তাঁর দাবি ছিল, এক বছরের জন্য তাঁরা বাড়ি ভাড়ার চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু যে হেতু তাঁরা আগে ছেড়ে দিচ্ছেন, তাই আরও এক বছরের ভাড়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। সেটা না দেওয়াতেই তাঁদের মারধর করা হয়।