—ফাইল চিত্র।
প্রায় সাত বছর ধরে নানা উপায়ে মানসিক হেনস্থা করা হচ্ছে। চলছে লাগাতার কটূক্তি। বিশ্বভারতীর কয়েক জন বাংলাদেশি ছাত্র-সহ তাঁদের পরিচিত যুবকদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীর। এমনকি, তাঁদের মধ্যে এক জন বাংলাদেশি যুবক যৌন হেনস্থার চেষ্টাও করেছিল বলে দাবি তাঁর। এ নিয়ে বছর দুয়েক আগে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি। সোমবার শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগে মধুপর্ণা কর্মকার নামে ওই তরুণীর দাবি, তাঁর পরিবার-বন্ধুবান্ধবকেও নিশানা করেছেন অভিযুক্তরা।
বাংলাদেশের এমরানুর রেজা-সহ একাধিক যুবক এবং বিশ্বভারতীর কয়েক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লির বাসিন্দা মধুপর্ণা। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত মধুপর্ণা জানিয়েছেন, ২০০৬-'১৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সে সময় বিশ্বভারতীর দু’জন বাংলাদেশি ছাত্রের মাধ্যমে এমরানুর-সহ তাঁদের কয়েক জন পরিচিত যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। বিশ্বভারতীর ছাত্র না হলেও ওই বাংলাদেশি যুবকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত ছিল। তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে ওঠে মধুপর্ণার। তবে নানা কারণে সে সম্পর্ক তিক্ততায় পর্যবসিত হয়। মধুপর্ণার দাবি, ‘‘২০১৪ সাল থেকেই এমরানুর-সহ ওই যুবকেরা আমাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। ফোন নম্বর বদল করলেও তা জোগাড় করে কটূক্তি করতে বা আমার গতিবিধি নজরে রাখতে শুরু করে। বিশ্বভারতীর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার সময়ও আমাকে উত্যক্ত করত। সে সময় কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখায় অভিযোগ জানাই। কিন্তু এর পরেও ওই ছেলেগুলি উত্যক্ত করা বন্ধ করেনি। সে কারণে ফের শান্তিনিকেতন থানার দ্বারস্থ হলাম।’’
মধুপর্ণার অভিযোগ, সাইবার পুলিশের তরফে এ নিয়ে আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ হয়নি। এর পরেও দল বেধে তাঁকে হেনস্থা চালিয়ে যান এমরানুররা। ২০১৯ সালে কলকাতার পুলিশের কাছে মধুপর্ণার দাবি ছিল, ‘‘শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন এমরানুর আমাকে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেছিল। ফেসবুকে তাকে ‘ব্লক’ করে দিলেও সে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে উত্যক্ত করছে। পরিচিত মহলে নানা কটূক্তি করছে।’’ অভিযোগ জানানোর পরেও কটূক্তি করা বন্ধ হয়নি।
কেন তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে? মধুপর্ণার দাবি, ‘‘সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। মানসিক ও শারীরিক ভাবে হেনস্থার চেষ্টা করেছিল। সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি বলেই হয়তো এমন করছে। এমরানুর ছাড়াও রবিউল আলম নবি এবং হাবিব-সহ বিশ্বভারতীর কয়েক জন ছাত্রও এতে জড়িত। এরা দল বেঁধে হেনস্থা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy