হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরিজন। তাঁর জন্য জল আনতে এসে দেখেন লম্বা লাইন। পেছন থেকে তাড়া আসতেই উত্তর এল, ‘কল থেকে জল প্রায় পড়ছেই না।’ অগত্যা লাইন ছেড়ে বাইরে থেকে জল কিনে নিয়ে গেলেন গলসির বাসিন্দা মানস রায়। বাঁকুড়া থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয় আবার লাইনে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘বাঁকুড়ায় জলের সঙ্কট আছে। কিন্তু বর্ধমানেও যে এ অবস্থা জানা ছিল না।’’
সব মিলিয়ে তীব্র দাবদাহে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জলের সঙ্কট নিয়ে রোগী ও পরিজনদের ভোগান্তি নিত্য দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন বর্ধমান মেডিক্যালে। বর্ধমান ছাড়াও এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম বহু বাসিন্দা। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলের চাহিদা। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরের অধিকাংশ জলের কল খারাপ, মিলছে না পর্যাপ্ত জল।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকা ঠান্ডা পানীয় জলের কলটি বেশ কিছুদিন ধরেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। শিশু বিভাগের সামনের জলের কল থেকেও মিলছে না জল। বেহাল অবস্থা হাসপাতালের রান্নাঘর লাগোয়া পানীয় জলের কলটির। খুব কম জল পড়ে সেটি থেকে। জলের জন্য ওই কলটিই মূল ভরসা রোগীর আত্মীয়দের। সারা দিনও লম্বা লাইন লাইন লেগে থাকে কলটিতে। হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের কলগুলি বহু দিনের পুরনো। ঠিক মতো জল না পড়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহাজানান, ভোটের কারণে বরাত পাওয়া সংস্থাগুলি কাজ বন্ধ রেখেছে। ২- ৩ দিনের মধ্যেই হাসপাতাল চত্বরের সবগুলি পানীয় জলের কল ঠিক করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy