Advertisement
E-Paper

নিজের লেখা বই দিলেন রাজ্যপাল

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, কোর্টের বৈঠক করতে গেলে নিয়ম মেনে বৈঠকের ১০ দিন আগে সমস্ত সদস্যকে চিঠি করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:০০
West Bengal Governor CV Ananda Bose

শুক্রবার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ পরিদর্শনে রাজ্যপাল। — ফাইল চিত্র।

ইচ্ছে ছিল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কমিটি ‘কোর্ট’-এর সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করার। তবে নিয়মের গেরোয় তা করতে পারলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ পরিদর্শনে এসে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, কোর্টের বৈঠক করতে গেলে নিয়ম মেনে বৈঠকের ১০ দিন আগে সমস্ত সদস্যকে চিঠি করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের বাঁকুড়া সফরের কথা জানাজানি হলেও তাঁর কর্মসূচি নিয়ে কোনও তথ্য রাজভবন থেকে প্রকাশ করা হয়নি। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার খবর জানা যায় রাতে। উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কমিটি কোর্টের বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁর আসার খবর আমরা সময় মতো পাইনি। ফলে কোর্টের সদস্যদের বৈঠকের বিষয়ে জানানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে কোর্টের বৈঠক করলে সেটা নিয়ম বহির্ভূত হত। বিষয়টি রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরি। উনি সমস্যাটি বোঝেন।”

সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন উপাচার্য। রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার উন্নয়নের বার্তা দেন। নয়া শিক্ষানীতি চালু করার পক্ষেও কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের নিজের লেখা বই— ‘সাইলেন্স সাউন্ডস গুড’ তুলে দেন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়াদের হাতে।

পরে সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, “আমি ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও অবশ্যই উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য এসেছিলাম। খুবই প্রেরণাদায়ক আলোচনা হয়েছে। সবার সঙ্গেই কথা বলে আমি খুশি।”

বাঁকুড়ার কড়গাহিড়ের হেলিপ্যাডে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান বাঁকুড়ার জেলা শাসক কে রাধিকা আইয়ার ও বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি। সেখান থেকে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ফুড সেফটি অফিসার ছিলেন না। ফলে রাজ্যপালের জলখাবার পরীক্ষা করেন তাঁর সঙ্গে আসা কর্মীরাই। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “দুপুরে সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফুড সেফটি অফিসার সেখানে নিযুক্ত ছিলেন। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবার পরীক্ষার দরকার রয়েছে বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই ফুড সেফটি অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়া শহরের আইলাকান্দিতে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের স্কুলে যান রাজ্যপাল। সেখানে জেলা প্রশাসনের তরফে দেওয়া সহায়ক সরঞ্জাম বিশেষচাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের বিলি করেন রাজ্যপাল। প্রশাসনের উদ্যোগে ওই স্কুলে গড়ে তোলা স্মার্ট ক্লাসরুম, ফিজিওথেরাপির যন্ত্রপাতি, স্পিকিংথেরাপি রুম পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরে অন্ডালে রওনা দেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি ভাদুর গ্রামে একটি কর্মতীর্থ পরিদর্শন করেন।

Bankura University CV Ananda Bose
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy