পুজো-প্যান্ডেলে আলোর কাজ বলতে আগে চন্দননগরই ছিল শেষকথা। এখন তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে জেলা। বড় বাজেটের পুজোগুলিও আস্থা রাখছে জেলার আলোকশিল্পীদের উপরেই।
বোলপুর সিউড়ি ও বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র মিলিয়ে মোট তিনটি বড় বাজেটের পুজোর আলোকসজ্জার দায়িত্ব পেয়েছেন দুবরাজপুরের আলোকশিল্পী রাজা দাস। কাঠের ফ্রেমের উপর সাঁটা পলিথিন সিটের একটার পর একটা এলইডি ল্যাম্প বসিয়ে রাজা ফুটিয়ে তুলছেন বিভিন্ন নকশা। তবে শুধু এলইডি বোর্ডেই নয় রাজা এবার জোর দিয়েছেন পিক্সেল এলইডি এর কাজেও। রাজার হাতেখড়ি ৭৩ বছর বয়সী দাদু নারায়ণ কবিরাজের কাছে। নাতির সঙ্গে এ বারও কাজে হাত লাগিয়েছেন তিনি। উপায় কী! বরাতের অঙ্ক কম বেশি ৫ লক্ষ টাকা যে! সঙ্গে বজায় রাখতে হবে সুনাম।
এই প্রবণতা বাড়ার পিছনে মূলত দু’টি কারণ উঠে আসছে। তার প্রথমটি যদি হয় কম খরচে আলোকসজ্জার বন্দোবস্ত করা, দ্বিতীয়টি অবশ্যই জেলার শিল্পীদের সুযোগ করে দেওয়া। সেই সুবাদে দম ফেলার ফুরসত নেই রামপুরহাটের আলোকশিল্পী সুব্রতকুমার মণ্ডল ওরফে দীপুরও। রামপুরহাটের বেশ কয়েকটি বড় পুজোর আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত। নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। সু্ব্রত বলেন, ‘‘চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের জাতই আলাদা। তাঁদের সমকক্ষ না হতে পারলেও একটা মানে পৌঁছতে পেরেছি। যা স্থানীয় বড়বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে কাজ পেতে সাহায্য করেছে।’’