Advertisement
E-Paper

বাড়তি কড়িও সই, ভাটা নেই মদের জোগানে

কার্যত লাম্বা ছুটির দিন কাটাতে গেলে গলা তো ভেজাতেই হয়। অভিযোগ, সেই সুযোগেই কাজে লাগাচ্ছে কিছু লোক।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৩:১১
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

করোনা মোকাবিলায় লক-ডাউন চলছে দেশ জুড়ে। লকডাউনের সময় ওষুধ, মুদিখানা, আনাজ দোকান, ফল, মাছ, মাংস, পাউরুটি এবং দুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকার নির্দেশ রয়েছে। বন্ধ থাকার তালিকায় রয়েছে সরকার অনুমোদিত মদের দোকানও।

তাই বলে কি সুরা রসিকদের থামলে চলে!

কার্যত লাম্বা ছুটির দিন কাটাতে গেলে গলা তো ভেজাতেই হয়। অভিযোগ, সেই সুযোগেই কাজে লাগাচ্ছে কিছু লোক। জেলার বিভিন্ন জনপদে কান পাতলেই শোনা যাবে পুলিশ ও আবগারি দফতরের চোখে ধুলো গিয়ে ঘুর পথে দ্বিগুণ তিনগুণ দামে দিশি বিলিতি মদের জোগান দিয়ে পয়সা কামানো আছেই, সুযোগ বুঝে চোলাই মদ তৈরিও করবার শুরু করে দিয়েছে কেউ কেউ।

সিউড়ি ১ ব্লকের খটঙ্গা, নগরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেদার চোলাই মদের কারবারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বহুবার এই অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদেরই একটা অংশ জানাচ্ছেন, লোকের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ থাকলেও কামারডাঙা, মৌল পাঁচকাট এবং আদিবাসী গ্রাম গুলিতে গ্রামেরই কিছু মানুষ দেদার মদ সরবরাহ করে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরেও বিষয়টি এনেছেন ওই মহিলারা।

তবে অভিযোগ উঠছে, শুধু সিউড়ির গ্রামে নয়, খোদ জেলা সদরের বারুইপাড়া, বাগদিপাড়া, শুড়িপুকুরপাড়া, কাঁটাবুনি-সহ বিভিন্ন পাড়ায় চোলাই এবং দেশি বিলিতি মদের সরবরাহ জারি রেখেছে কিছু লোক। তবে হ্যাঁ দাম দিতে হচ্ছে অনেক বেশি। দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম এবং পুর-শহরেরও মদ মিলছে বাড়তি টাকা খরচ করলেই। দুবরাজপুরের এক যুবক বলছেন, “সব দোকান তো বন্ধ। তাই বলে কি মদ খাব না? দিশি মদ দোকান দোকানে যেটা ৮৫ টাকায় পাই, সেটাই এখন দুশো টাকায় কিনেছি। তবে আপনি চাইলেই পাবেন না। যারা খায়, তারাই ঠিক খুঁজে নিচ্ছে।” খয়রাশোলের বাবুইজোড় পঞ্চায়েত এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, “আমার বিলিতি ছাড়া জমে না। তবে যে মদ দুশো টাকায় আগে কিনেছি, সেটাই কিনতে হয়েছে ৯০০ টাকায়।” সচেতন মানুষ তাই প্রশ্ন তুলছেন, মদ পাওয়া গেলেই আড্ডায় বসার একটা সুযোগ তৈরি হয়। গ্রামের দিকে সেই সুযোগ আরও বেশি।তা হলে আর করোনা-আতঙ্কে লকডাউনের উদ্দেশ্য কী ভাবে পূরণ করা হবে?

জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লুকিয়ে কেউ মদ বিক্রি করছে জানতে পারলেই অভিযান হচ্ছে। অন্য দিকে জেলা আবগারি সুপার বাসুদেব সরকার বলেন, “মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে লকডাউন ছিলই। ওই রাত থেকেই দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। জেলায় অনুমোদিত ৩০০ দোকান সেদিন থেকেই বন্ধ। জেলাশাসকের নির্দেশে এর বাইরে কেউ মদের দোকান খুলেছে জানতে পারলে বা চোরা পথে বিক্রি হচ্ছে জানতে পারলেই আবগারি ও পুলিশ তল্লাসি চালাচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সুবিধা হয়।” ক’দিন আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুরারইয়ে একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত মদের দোকানে তালা ঝুলিয়েছে প্রশাসন।

West Bengal Lockdown Liquor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy