Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ বার আমও ন্যায্য দামে

বাঁকুড়া উদ্যানপালন দফতরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত জানান, এ বছর জেলায় আমের ফলন হয়েছে ১৮ হাজার টন। গত বারের তুলনায় পরিমাণটা প্রায় তিন গুন বেশি। বাঁকুড়ার পাশাপাশি মালদা, মুর্শিদাবাদেও আমের ফলন প্রচুর হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

ন্যায্য মূল্যে ধানের মতো এ বার বাঁকুড়ায় কেনা হবে আমও। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে একশো টন।

এ বছর ফলন বেশি হওয়ায় আমের পাইকারি দাম অনেকটাই কমে গিয়েছিল বাজারে। এই পরিস্থিতিতে জেলা উদ্যানপালন দফতর চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ন্যায্য মূল্যে আম কিনতে নামাল। নিলাম না করে চলতি বছর থেকে নিজেদের ফার্ম হাউসের আম স্টল বানিয়ে খুচরো বিক্রি করছে বাঁকুড়া উদ্যান পালন দফতর। বাঁকুড়া উদ্যানপালন দফতরের আধিকারিক মলয় মাজির কথায়, “ক্রেতাদের চাহিদা কেবল দফতরের ফার্ম হাউসের আম বিক্রি করে মেটানো সম্ভব নয়। তাই চাষিদের কাছ থেকেও আম কিনছি আমরা।” তিনি জানাচ্ছেন, চাষিরা উদ্যানপালন দফতরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে তাঁদের ফলনের মান দেখেই আম কেনা হচ্ছে। চাষিদের কাছ থেকে কেনা আম উদ্যানপালন দফতর ছাড়াও ‘সুফল বাংলা’-র স্টলেও পাঠানো হচ্ছে।

চাহিদা রয়েছে বাইরেও। গত বছর দিল্লি আম মেলায় বাঁকুড়া থেকে দু’টন আম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাজ্য অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “গত বার দিল্লিতে বিপুল সাড়া ফেলেছিল বাঁকুড়ার আম। এ বছর আরও দশ গুন বেশি বাঁকুড়ার আম দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে।”

বাঁকুড়া উদ্যানপালন দফতরের ফিল্ড অফিসার সঞ্জয় সেনগুপ্ত জানান, এ বছর জেলায় আমের ফলন হয়েছে ১৮ হাজার টন। গত বারের তুলনায় পরিমাণটা প্রায় তিন গুন বেশি। বাঁকুড়ার পাশাপাশি মালদা, মুর্শিদাবাদেও আমের ফলন প্রচুর হয়েছে। এর ফলে খোলা বাজারে আমের দর বিশেষ কমেনি। তবে পাইকারি দর অনেকটাই পড়ে গিয়েছে বলে জানান সঞ্জয়বাবু। তাঁর কথায়, “গত বছর চাষিরা পাইকারি হারে কুড়ি টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করেছিলেন ব্যবসায়ীদের। এ বার সেখানে কেজি প্রতি কেউ দশ, কেউ বারো টাকা পাচ্ছেন।”

এই পরিস্থিতিতে সরাসরি চাষিদের থেকে উদ্যানপালন দফতরের আম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কিছুটা বেশি লাভ পাচ্ছেন চাষিরা। সঞ্জয়বাবু বলেন, “গত সাত দিনে জেলার চাষিদের কাছ থেকে ছ’টন আম কেনা হয়েছে। এ ভাবে চাষিদের থেকে একশো টনের বেশি আম কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের।” বাঁকুড়ার পোয়াবাগানের চাষি সিদ্ধার্থ সেন নিজের খামারে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। তাঁর কথায়, “পাইকারি দর পড়ে যাওয়ায় বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। শেষে উদ্যানপালন দফতর কেনায় ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE