এখান থেকেই শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
বিকলাঙ্গ সদ্যোজাতকে নদীতে ছুড়ে ফেলে পালানোর পথে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন প্রৌঢ়া ও যুবককে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী সেতুর কাছে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত অমিতা সৎপথী শিশুটির ঠাকুমা এবং যামিনীরঞ্জন গোস্বামী তাঁর পড়শি। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের আড়াবাড়ি গ্রামে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “শিশুকে জলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
ধৃতদের দাবি, কলকাতার হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। তার পরেই তাঁরা জলে ছুড়ে ফেলেন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জন দাবি করেছেন, ঘটনার সময়ে তাঁরা শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনেছিলেন। অমিতা পুলিশের কাছে দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরের লোকপুর এলাকার একটি নার্সিংহোমে ওই শিশু পুত্রের জন্ম হয়। জন্ম থেকেই সে বিকলাঙ্গ। নার্সিংহোম থেকে প্রথমে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ও পরে সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার গাড়ি ভাড়া করে তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
রানিগঞ্জ-বাঁকুড়া জাতীয় সড়কে বাঁকুড়া শহরের কাছেই গন্ধেশ্বরী সেতু। সন্ধ্যায় অনেকে সেখানে বসেন। টোটো চালকেরাও দাঁড়ান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক জন দাবি করেছেন, তাঁরা ওঁদের শিশুটিকে কোলে নিয়ে সেতু দিয়ে হেঁটে আসতে দেখেন। কাছাকাছি থাকা কয়েক জন কান্নার আওয়াজও পান। তার পরে জলে ভারী কিছু পড়ার শব্দ। তাতেই সন্দেহ হয় কয়েক জনের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধরতে গেলে অমিতা পালান। যামিনীকে আটকে রাখা হয়। খবর যায় থানায়। পরে লক্ষাতোড়া মহাশ্মশানের কাছ থেকে অমিতাকেও ধরা হয়। প্রথমে দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পরে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘণ্টাখানেকের তল্লাশিতে জল থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ।
শিশুটির দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর বাবা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শনিবার লোকপুরের নার্সিংহোমেও যান তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy