Advertisement
E-Paper

‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের জন্য কর্মশালা  

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, পতিত জমির উর্বরতা বাড়িয়ে তার উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হচ্ছে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের লক্ষ্য। 

 অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:২৩
সাঁইথিয়ায় আলু তোলা হচ্ছে। ছবি: কল্যাণ আচার্য

সাঁইথিয়ায় আলু তোলা হচ্ছে। ছবি: কল্যাণ আচার্য

গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প ত্বরান্বিত করার উপরে জোর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। চলতি বছরের জুনে এই প্রকল্প জেলায় শুরু হয়েছে। জেলার কৃষি দফতর ইতিমধ্যে ১০টি ব্লকে ৮ হাজার হেক্টর পতিত জমি চিহ্নিত করেছে।

তবে ওই সমস্ত জমির বেশির ভাগটাই ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা ব্লকগুলির মধ্যে পড়ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিহ্নিত জমিগুলি মুরারই খয়রাশোল, রাজনগর, দুবরাজপুর, মহম্মদবাজার, নলহাটি ১, রামপুরহাট ১, সিউড়ি ১ ব্লকের। চিহ্নিত ৮০০০ হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ৯৮০ একরে জেলা প্রশাসন কাজ শুরু করে দিয়েছে।

বুধবার মাটির সৃষ্টি প্রকল্প নিয়ে সিউড়িতে একটি কর্মশালা হয়। তাতে জেলার ১৯টি ব্লকের আধিকারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন), একশো দিন প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার, এবং কৃষি, উদ্যানপালন, মৎস্য, সমবায়, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, জলসম্পদ দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, পতিত জমির উর্বরতা বাড়িয়ে তার উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হচ্ছে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের লক্ষ্য।

সেই সঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে পতিত জমিগুলিতে যাঁরা চাষ করেন (জমির মালিক, বর্গাদার কিংবা ভাগচাষি) তাঁদের নিয়ে ‘ফার্মাস প্রোডাকশন গ্রুপ’ তৈরি করা হবে। বীরভূমেও তা হয়েছে। এই গ্রুপগুলিকে নিয়ে একটি সমবায় গড়ে তোলা হবে। সেই সমবায় সংশ্লিষ্ট জমিতে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পটি দেখভাল করবে। এখনও পর্যন্ত জেলায় মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ১৫টি সমবায় গঠিত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বুধবারের কর্মশালায় কৃষি, উদ্যানপালন, মৎস্য দফতর-সহ মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধন নিয়ে আলোচনা হয়।

এ ছাড়াও এই প্রকল্পে এখনও যেখানে সমবায় গঠন করা হয়নি, সেখানে তা গড়ে তোলা, জলের সমস্যা থাকলে তা দূর করার ব্যপারেও আলোচনা হয়। জেলা কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা মিনাজুর আহসান জানান, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের গাইডলাইন অনুযায়ী কৃষি দফতর জমি চিহ্নিতকরণের কাজ করেছে। ভবিষ্যতেও জমি চিহ্নিতকরণের কাজ করবে।

উদ্যানপালন দফতরের উপ-অধিকর্তা সজলেন্দু সিট জানান, প্রকল্পে জেলার ১০টি ব্লকে তাদের চাহিদা মতো ফলের চারা জোগান দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ২ হেক্টর জমিতে ক্ষুদ্রসেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিউড়ি ২ এবং বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকে স্ট্রবেরি ও আঙুর চাষের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে।

Soil Fertility মাটির সৃষ্টি Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy