Advertisement
১৭ মে ২০২৪

আগুনে যুবকের মৃত্যু, দগ্ধ অভিযুক্ত পরিবারও

পড়শির বাড়ি থেকে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল এক যুবককে। বৃহস্পতিবার সকালে জামশেদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিত মাহাতো (২০) নামে ওই যুবকের।

রঞ্জিত মাহাতো।—নিজস্ব চিত্র।

রঞ্জিত মাহাতো।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ০১:৩৬
Share: Save:

পড়শির বাড়ি থেকে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল এক যুবককে। বৃহস্পতিবার সকালে জামশেদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে রঞ্জিত মাহাতো (২০) নামে ওই যুবকের। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন পড়শি পরিবারটির পাঁচ জনও। তাঁরা রাঁচি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি বাঘমুণ্ডি থানার সিন্দরি গ্রামে, বুধবার গভীর রাতের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পড়শি পরিবারের সঙ্গে বচসা চলাকালীন দুর্ঘটনাবশত আগুন লাগে।

রঞ্জিত ঝাড়খণ্ডের সিল্লি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর ভাই সঞ্জিতের দাবি, বুধবার রাতে তাঁরা তিন ভাই এক সঙ্গে শুয়েছিলেন। একটি ফোন পেয়ে রঞ্জিত বেরিয়ে যান। রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বাড়িতে ফোন করে রঞ্জিত জানান, পড়শি এক পরিবার তাঁকে বন্দি করে রেখেছে। সঙ্গে সঙ্গে পরিজনদের নিয়ে তাঁরা ওই বাড়িতে যান। সঞ্জিতের দাবি, গিয়ে তাঁরা দেখতে পান, ওই বাড়ির সামনে রঞ্জিতের দগ্ধ দেহ পড়ে রয়েছে।

দরজা ভেজানো ছিল। ধাক্কা দিতেই দেখা যায়, বাড়ির উঠোনে ওই পরিবারের এক তরুণী, তার মা, জেঠা এবং দুই জেঠতুতো দাদা অগ্নিদগ্ধ হয়ে ছটফট করছেন। গ্রামের বাসিন্দারাই সবাইকে উদ্ধার করে বাঘমুণ্ডি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। রাতে সেখানে থেকে রঞ্জিতকে জামশেদপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাউ পরিবারের পাঁচ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় রাঁচি মেডিক্যালে।

বৃহস্পতিবার রঞ্জিতের বাবা হেমন্ত মাহাতো ওই তরুণী, তার বাবা, জেঠা ও দুই জেঠতুতো দাদার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই তরুণীর বাবার খোঁজ করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর সঙ্গে রঞ্জিতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সঞ্জিত এ দিন বলেন, ‘‘শুনলাম ওই মেয়েটির সঙ্গে দাদার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে এই সম্পর্কের কথা আমরা জানতাম না।

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ওই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তা তদন্ত করে জানার চেষ্টা চলছে। রঞ্জিত মৃত্যুর আগে জামশেদপুরে চিকিৎসকদের কাছে কোনও জবানবন্দি দিয়েছেন কি না তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের সঙ্গে পড়শি তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। বাড়ির লোক দেখে ফেলায় বচসা বাধে।’’ পুলিশের অনুমান, বচসা চলাকালীন কোনও ভাবে বাড়িতে রাখা পেট্রোলের ক্যান উল্টে যায়। পাশের কুপি জ্বলছিল। তাতেই আগুন ধরে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Youth Fire Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE