Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

খাদ্য তালিকায় বদল, স্কুলে আসছে পড়ুয়ারা

মুর্শিদাবাদের ৬৬০৫টি স্কুলে এখন থেকে মিড ডে মিলে প্রতি সপ্তাহে মুরগির মাংস ও জোড়া ডিম দেওয়া হবে ছাত্র ছাত্রীদের। জেলা প্রশাসনের দাবি, পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে স্কুলের মিড ডে মিলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই রাজ্যের মধ্যে একমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রথম ১ জুলাই থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জেলার যে সব স্কুলে এখনও তা চালু করা যায়নি সেগুলিতে ১ অগস্টের আগেই ওই মেনু চালু করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বিমান হাজরা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৪ ০১:০১
Share: Save:

মুর্শিদাবাদের ৬৬০৫টি স্কুলে এখন থেকে মিড ডে মিলে প্রতি সপ্তাহে মুরগির মাংস ও জোড়া ডিম দেওয়া হবে ছাত্র ছাত্রীদের। জেলা প্রশাসনের দাবি, পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে স্কুলের মিড ডে মিলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই রাজ্যের মধ্যে একমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই প্রথম ১ জুলাই থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জেলার যে সব স্কুলে এখনও তা চালু করা যায়নি সেগুলিতে ১ অগস্টের আগেই ওই মেনু চালু করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই ব্যবস্থায় প্রাথমিক স্কুলে সপ্তাহে দু’দিন একটি করে গোটা ডিম এবং হাই স্কুলে দু’দিন ডিম ছাড়াও একদিন মুরগির মাংস দেওয়া হবে। এর জন্য ছাত্র পিছু বরাদ্দের হার প্রাথমিকে ৩ টাকা ৫১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩ টাকা ৬৯ পয়সা এবং হাই স্কুলে ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা ৩৮ পয়সা করা হয়েছে। মিড ডে মিলের এই অভিন্ন বিধি ব্যবস্থায় কোনও অনিয়ম হলে অভিভাবকরা টোল ফ্রি নম্বর ১০৩৮ ডায়াল করে অভিযোগ জানাতে পারবেন জেলা প্রশাসনের কাছে।

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের চালু করা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষকদের বাম ডান সমস্ত সংগঠনই। খুশি ছাত্র ও অভিভাবকেরাও। মিড ডে মিলের এই নয়া মেনুতে ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলগুলোতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি আগের থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের। সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক তরুণ দাস বলেন, “স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল বড় একঘেঁয়ে হয়ে পড়ছিল। সপ্তাহে ডিম বলতে বরাদ্দ ছিল আধখানা। অন্যান্য দিন ডাল, তরকারি, ভাত বা বেশিরভাগ দিনই খিুচুড়ি। নতুন মেনুতে স্কুলগুলিতে বেড়েছে হাজিরাও। তবে বাজার দর অনুযায়ী বরাদ্দ না বাড়ালে এ প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে।” তৃণমূলের শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি শেখ ফুরকানের কথায়, “পিছিয়ে পড়া বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত এই জেলায় স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলে নিয়মিত ভাবে মাংস ও ডিম দেওয়ার এই ব্যবস্থা চালুর ফলে ছাত্রদের স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। উদ্যোগ শুধু অভিনবই নয়, প্রশংসনীয়ও বটে।” পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির জেলার সহ সভাপতি আশিস তেওয়ারি সুতির গোঠা হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক। তিনি বলেন, “১ জুলাই থেকেই স্কুলে নতুন মেনু চালু করা হয়েছে। গড় হাজিরা ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ। তা ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে খরচের ব্যাপারটা নিয়ে হিসেব কষব মাস খানেক পরে। এখন যত বেশি সংখ্যক ছাত্রকে মিড ডে মিলের আওতায় সামিল করা যায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, “মিড ডে মিলের বরাদ্দ আসে জেলায়। সে টাকার একটা অংশ উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, স্কুলগুলিতে রোজ একই রকম খাবারে আগ্রহ হারাচ্ছে পড়ুয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

biman hazra raghunathganj mid day meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE