Advertisement
০২ মে ২০২৪

তৃণমূল কর্মীদের জেল হাজত

ইলামবাজারের কানুর গ্রামে বিজেপি সমর্থক শেখ রহিম খুনের ঘটনায় ধৃত পাঁচ তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৪ ০১:০১
Share: Save:

ইলামবাজারের কানুর গ্রামে বিজেপি সমর্থক শেখ রহিম খুনের ঘটনায় ধৃত পাঁচ তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “ইলামবাজারের কানুর গ্রামে শেখ রহিম খুনের ঘটনায় ধৃতদের চার দিন পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার আদালতে তোলে পুলিশ। বোলপুরের এসিজেএম সঙ্ঘমিত্রা পোদ্দার পাঁচ অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।”

তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী যে পুলিশ অফিসারের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল, অভিযুক্ত ইলামবাজার থানার এএসআই স্বরূপ পাণ্ডা এবং যাঁর উস্কানিতে এই খুন হয়েছে সেই জাফারুল ইসলামকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার অরূপ দত্তের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।

বুধবার নিহত শেখ রহিমের বাড়িতে যান কংগ্রেস নেতা সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন সাহা, মহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ইলামবাজার ব্লক নেতৃত্ব। পাশাপাশি এই দিনই কলকাতা থেকে ফিরে বিজেপি অন্যতম জেলা সহসভাপতি কামিনীমোহন সরকার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব নিহতের বাড়িতে যান। কংগ্রেস ও বিজেপি নেতাকর্মীদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্ত্রী এবং মেয়ে। দুই দলই নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তপনবাবু বলেন, “যে রাজনৈতিক মতাদর্শের সমর্থক হন না কেন, এই খুনের ঘটনা দুঃখজনক। আমরা নিহতের পরিবারের পাশে আছি।” অন্য দিকে, কামিনীবাবু বলেন, “ঘটনার সময়ে জেলায় ছিলাম না। তাঁর পরিবারের পাশে আছি। দলের তরফ থেকে তাঁদের সব রকম সহায়তা করব।”

শনিবার ইলামাবাজার থানার ঘুড়িষা পঞ্চায়েতের কানুর গ্রামে বিজেপি সমর্থক শেখ রহিমকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। নিহতের ভাই থানায় জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ইলামবাজার ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম-সহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তার পাল্টা হিসেবে পরের দিন বিজেপির অন্যতম সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সিংহ-সহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মী বাবলু শেখকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। দু’টি ঘটনায় পুলিশ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ধৃত বিজেপির তিন এবং তৃণমূলের পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার দিন ব্যবহৃত লাঠি, রড টাঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc supporters police custody bolpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE