Advertisement
E-Paper

দ্বন্দ্বে বন্ধ মিড-ডে মিল

স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না করাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধল। আর এর জেরে তালা পড়ল স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে। হুড়া ব্লকের চাকলতা হাইস্কুলের বৃহস্পতিবারের ঘটনা। এর ফলে স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ হয়ে যায়। রান্নাঘর থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয় রান্নার বাসনপত্রও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:১০
পুলিশের সামনেই বের করে আনা হচ্ছে রান্নার সরঞ্জাম। হুড়ার স্কুলে।—নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের সামনেই বের করে আনা হচ্ছে রান্নার সরঞ্জাম। হুড়ার স্কুলে।—নিজস্ব চিত্র।

স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না করাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধল। আর এর জেরে তালা পড়ল স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে। হুড়া ব্লকের চাকলতা হাইস্কুলের বৃহস্পতিবারের ঘটনা। এর ফলে স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ হয়ে যায়। রান্নাঘর থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হয় রান্নার বাসনপত্রও।

বর্তমানে ওই স্কুলে দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা রান্না করেন। সম্প্রতি ওই স্কুলে রান্না করার দাবি জানান অন্য কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরাও। তাতেই ঝামেলার সূত্রপাত। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ স্কুলে পৌঁছয়। পঠন-পাঠনেও প্রভাব পড়ে। টিফিনের পর স্কুলে ছুটি হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলমাল শুরু কয়েক মাস আগেই। যাঁরা রান্না করার নতুন দাবি তুলেছেন, সেই বীণাপানি স্বনির্ভর দলের গঞ্জি বাউরি, স্বপ্না চক্রবর্তী এবং মা ছিন্নমস্তা স্বনির্ভর দলের ঝর্না গড়াই, মা সরস্বতী স্বনির্ভর দলের সুন্দরা বাউরি প্রমুখদের অভিযোগ, “স্কুলে শুধুমাত্র দু’টি স্বনির্ভর দলের সদস্যরাই রান্না করবে কেন? আমরা রান্নার দাবি জানিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাদের জানিয়েছেন এ নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এই করে প্রায় এক বছর পার হতে চলল। কিন্তু কিছুই তিনি করেননি।” তাঁদের আরও অভিযোগ, বিডিওর কাছে গিয়েও তাঁরা দাবির সুরাহার বিষয়ে কোনও সদুত্তর পাননি। ওই সদস্যেরা জানিয়েছেন, তাই বাধ্য হয়ে এ দিন স্কুলের রান্নাঘরে তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা স্বনির্ভর দলের সদস্য ঝর্না বাউরির দাবি, “আমাদের সামনে কেবলমাত্র দু’টি গোষ্ঠীর সদস্যেরা রান্না করবেন, তা হতে পারে না। আমাদেরও রান্না করতে দিতে হবে।”

অন্যদিকে বর্তমানে যাঁরা রান্নার দায়িত্বে রয়েছেন সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দীপালি বাউরি, অচলা বাউরি বলেন, “আমরা গোড়া থেকেই মিড-ডে মিল রান্না করে যাচ্ছি। একসময় নামমাত্র পারিশ্রমিকে রান্নার কাজ করেছি। এখন তা কিছুটা ভালো হওয়ায় সবাই দাবিদার হচ্ছেন।”. তাঁদের অভিযোগ, এ দিন তাঁদের মারধর করা হয়েছে। নতুন দাবিদাররা অবশ্য মারধরের কথা মানতে চাননি। প্রধান শিক্ষক মধুসূদন কালিন্দী বলেন, “মিড-ডে মিল রান্নাকে কেন্দ্র করে স্কুলে একটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। পুরো বিষয়টি বিডিওকে জানাচ্ছি।” তিনি জানান, পরিস্থিতির জেরে আগামী ক’দিন স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ রাখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। হুড়ার যুগ্ম বিডিও অশোককুমার রক্ষিত বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

hura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy