Advertisement
১৯ মে ২০২৪

পুলিশি ‘সন্ত্রাস’, প্রতিবাদ বিজেপির

পুলিশি সন্ত্রাস বন্ধ করা, সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা-সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার পাড়ুই থানায় স্মারকলিপি দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এ দিনই দুপুরে পাড়ুই থানা লাগোয়া একটি মাঠে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সভা করে বিজেপি। এ দিনের কর্মসূচিতে মাখড়া, চৌমণ্ডলপুর, মঙ্গলডিহি, ইলামবাজার থেকে হাজারো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন জড়ো হয়েছিলেন। ইলামবাজার এলাকা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন।

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।  —নিজস্ব চিত্র

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাড়ুই শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১২
Share: Save:

পুলিশি সন্ত্রাস বন্ধ করা, সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করা-সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার পাড়ুই থানায় স্মারকলিপি দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এ দিনই দুপুরে পাড়ুই থানা লাগোয়া একটি মাঠে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সভা করে বিজেপি। এ দিনের কর্মসূচিতে মাখড়া, চৌমণ্ডলপুর, মঙ্গলডিহি, ইলামবাজার থেকে হাজারো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন জড়ো হয়েছিলেন। ইলামবাজার এলাকা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন।

স্মারকলিপি প্রসঙ্গে এসডিপিও (বোলপুর) সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। দাবিগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসডিপিও। তাঁর দাবি, “পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, পাড়ুই থানা এলাকা-সহ একাধিক এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা এবং বিজেপি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। পাড়ুই ও লাগোয়া ইলামবাজার থানা এলাকার বেশ কিছু গ্রামে অভিযুক্তদের ধরার নামে রাত-বিরেতে বাসিন্দাদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি একাধিক ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল তাদের অভিযুক্ত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আড়াল করছে বলে বারে বারে অভিযোগ উঠেছে। পাড়ুই, চৌমণ্ডলপুর, মাখড়া-সহ জেলার সর্বত্র শান্তি ফেরাতে সম্প্রতি শান্তি বৈঠকও হয়েছিল পাড়ুই থানায়। কিন্তু সেখানেও তৃণমূলের অভিযুক্তদের সঙ্গে শান্তি বৈঠক করে পুলিশ প্রশাসন। ওই বৈঠকে অন্য কোনও দলের অভিযুক্তরা ছিলেন না। কিন্তু তৃণমূলের অভিযুক্তরা কেন সঙ্গে শান্তি বৈঠকে হাজির থাকবেন? এই প্রশ্ন তুলে বৈঠক চলাকালীন ঘণ্টা খানেক পরে থানা থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের আগে অবশ্য সিপিএম আলোচনা ছেড়ে বেরিয়ে আসে।

শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা বীরভূম জেলা পর্যবেক্ষক রামকৃষ্ণ পাল বলেন, “পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা, পুলিশি সন্ত্রাস বন্ধ, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বেছে বেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ-সহ ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছি। পুলিশকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আর্জি জানানো হয়েছে।” রামকৃষ্ণবাবুর দাবি, পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের এ হেন পক্ষপাতমূলক আচরণে এলাকার সাধারণ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। এ দিন বিজেপির ওই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ-মিছিলে পাড়ুই থানা এলাকার কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন থানা লাগোয়া মাঠে। হাজির ছিলেন দলের জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল, সহ-সভাপতি দিলিপ ঘোষ, জেলা কমিটি সদস্য আইনজীবী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিমাই দাস, উজ্জ্বল মজুমদার, বলাই চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ওই সব নেতারা তৃণমূলস সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

parui tmc police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE