Advertisement
০২ মে ২০২৪

পঞ্চায়েতেই মারপিট দলের কর্মীদের মধ্যে

দফায় দফায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারপিটের ঘটনায় এ বার তেতে উঠল রাইপুর। মঙ্গলবার দুপুরে রাইপুর পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বাধল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হল পুলিশকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রাইপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০২:০০
Share: Save:

দফায় দফায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারপিটের ঘটনায় এ বার তেতে উঠল রাইপুর। মঙ্গলবার দুপুরে রাইপুর পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বাধল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসতে হল পুলিশকে। রাতে রাইপুর থানার কাছে পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধরের অভিযোগে নাম জড়াল দলের অন্য গোষ্ঠী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূলের রাইপুর ব্লক সভাপতি জগবন্ধু মাহাতোর গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লকের দুই দাপুটে নেতা অনিল মাহাতো ও রাজকুমার সিংহের গোষ্ঠীর বিরোধ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি প্রীতিলতা কেন্দ্রীয় ছাত্রী আবাসের ঘটনাতেও এই বিরোধ দেখা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে রাইপুর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শ্যামল কর ও যুব তৃণমূল নেতা সঞ্জয় লাহা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েছিলেন। প্রধানের অনুপস্থিতিতে নির্মাণ সহায়কের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, “প্রধানের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ জানানোয় হঠাত্‌ গণেশ মাহাতোর নেতৃত্বে বেশ কিছু যুবক আমাদের উপর চড়াও হন। আমাদের মারধর শুরু করেন।” গণ্ডগোল চলাকালীন খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ এসে লাঠি উঁচিয়ে সবাইকে হটিয়ে দেয়। শ্যামলবাবু ও সঞ্জয়বাবু দলে ব্লক সভাপতির অনুগামী বলেই পরিচিত। জগবন্ধুবাবুর দাবি, “পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সঞ্জয় লাহা-সহ কয়েকজনকে মারধর করেছে দুষ্কৃতীরা। সঞ্জয়কে রাইপুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” গণেশবাবু দলের গোষ্ঠী রাজনীতিতে অনিল মাহাতোর অনুগামী বলে পরিচিত। তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে ঢুকে গণ্ডগোল করেছেন সঞ্জয় লাহা ও তাঁর সঙ্গীরা। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। স্থানীয় মানুষই সঞ্জয় লাহা-সহ কয়েকজনকে মারধর করেছে বলে শুনেছি।” রাইপুর পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের বুদ্ধদেব টুডু বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে কী ঘটেছে তা বিস্তারিত ভাবে আমি জানি না। অফিসের ভিতরে মারপিট হয়নি।” সন্ধ্যায় তাঁকেই দলের অন্য গোষ্ঠী মারধর করে বলে অভিযোগ। নিচুতলার তৃণমূল কর্মীদের মতে, রাইপুরে দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও তা এতটা প্রকট ছিল না। এ দিনের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব কড়া না হলে ভবিষ্যতে দলের ক্ষতি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc group clash raipur bankura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE