বিপুল পরিমান অনাদায়ী খেলাপি ঋণ থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে গত ১৫ মে থেকে বন্ধ বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ১৭টি শাখা। সেগুলি অবিলম্বে খোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সদর্থক পদক্ষেপ দাবি করে সোমবার একযোগে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ, জেলাশাসক ও জেলা সমবায় দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছিল ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত সমবায় কৃষি উন্নয়ণ সমিতির কর্মীরা। মঙ্গলবার প্রায় একই দাবিতে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল সিপিআই(এমএল)।
আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতা-সহ পাঁচটি সংগঠন, সিপিআই(এমএল), অতিরিক্ত জেলা শাসক(সাধারণ) দেবীপ্রসাদ কর্ণম সেই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। সিপিআইএমএলের জেলা সম্পাদক শৈলেন মিশ্র এবং আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার সম্পাদক রবীন সরেনরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ১৭টি শাখা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আড়াই লক্ষেরও বেশি আমানতকারী। তাঁদের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা তাঁরা কী ভাবে ফেরত পাবেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুধু আমানতকরীরা নন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত সমবার কৃষি উন্নয়ন সমিতি, এজেন্ট ব্যাঙ্কের স্থায়ী অস্থায়ী কর্মীদের ভবিষ্যত কী, সেটাও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার যদি প্রয়োজনীয় ওবং ইতিবাচাক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে জেলাজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হবে। শৈলেনবাবুদের আরও দাবি, “যেভাবে একই পরিস্থিতিতে অন্য রাজ্য বিশেষভাবে অর্থসাহায্য করে ব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে দিয়েছে, এক্ষেত্রে তেমনটাই হওয়া উচিত।” রবীনবাবুদের অভিযোগ, সারদার মতো চিটফান্ডে যখন আমানতকারীরা সমস্যায় পড়েছে, তখন সরকার বিশেষ ফান্ডে অর্থ সাহায্য করছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের আমনতকারীদের বাঁচাতে দেড় মাসেও তেমন কোনও উদ্যোগ বর্তমান রাজ্য সরকার নেয়নি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দেবীপ্রসাদ কর্ণম বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy