মঞ্চে তখন শতাব্দী। তারই ফাঁকে আইসক্রিমের স্বাদ নিচ্ছেন শ্রোতাদের একাংশ। খয়রাশোলের পলাশবুনি গ্রামে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
দুষ্টুমি নয়
নায়িকাকে দেখতে মঞ্চের চারপাশে স্বভাবসিদ্ধ ভিড়। ডান দিকের ভিড়ের একটা বড় অংশই কচিকাঁচাদের। মঙ্গলবার দুপুরে খয়রাশোলের ন’পাড়ার ওই প্রচারসভায় কোনও রকমে ভিড় ঠেলে মঞ্চে উঠে এলেন বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। কিন্তু কচিকাঁচাদের হৈচৈয়ের জেরে কথা বলাই দায়। বহু চেষ্টা করেও বিফল নেতা-কর্মীরা। শেষমেশ শতাব্দীই মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিলেন। বলে উঠলেন, “শোনো যারা সামনে দাঁড়িয়ে আছো, তারা তো কেউ আমাকে ভোট দেবে না। এখন তোমাদের সে বয়স হয়নি। কিন্তু তোমাদের একটা কাজ আছে। তোমরা মা, বাবা, মাসি, পিসিকে বলো তাঁরা সবাই যেন ভোটটা আমাকেই দেন। কি, বলবে তো?” সমস্বরে উত্তর এলো, “হ্যা।” হাসি ফুটল প্রার্থীর মুখে। এ বার বললেন, “তা হলে এখানে যত বাচ্চা রয়েছে, তাদের এক এক জনের জন্য চারটে করে ভোট আমি পাচ্ছি। কি, তাই তো?” আবারও জবাব আসে, “হ্যা।” সন্তুষ্ট শতাব্দী কচিকাঁচাদের দুষ্টুমি না করে চুপ করে বসে থাকার পরামর্শ দিয়েই শুরু করলেন বক্তৃতা।
জল দাও
এক বৃদ্ধার করুণ আর্তি, “কী বাবা গ্রামে কল করে দেবে তো?” প্রথমে একটু থমকে গিয়েছিলেন। সামলে নিয়ে প্রার্থী বললেন, “আপনারা বিজেপি-কে ভোট দিন। বিজেপি জিতলে শুধু জলই নয়, সব সমস্যার সমাধান হবে।” মঙ্গলবার দুপুরে কাঠ ফাটা রোদে সিউড়ি ২ ব্লকের ভুরকুনা অঞ্চলে প্রচারে গিয়ে এমনটাই অভিজ্ঞতা হল বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গাড়িতে করে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়ে গ্রামবাসীদের একাংশ জয়ের কাছে পানীয় জলের দাবি জানাতে শুরু করেন। তারই মধ্যে এগিয়ে এসে ওই বৃদ্ধা হাত ধরে ফেলে জয়ের কাছে ওই আবেদন।
এপ্রিল ফুল
একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা হলেও বাস্তব রূপ পায়নি একটিও, এমনটাই অভিযোগ তুলে এই অভিনব প্রদর্শনী করল বিজেপি। বিজেপি নেতা চঞ্চল মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “তৃণমূল মানুষকে ‘এপ্রিল ফুল’ করেছে। আজ এ নিয়ে শহর জুড়ে মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।” মঙ্গলবার কামারপট্টি মোড়ে অনির্বাণ সেনের তোলা ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy