Advertisement
E-Paper

রান্নার দায়িত্ব চেয়ে স্কুলে তালা হুড়ায়

স্কুলের রান্না কারা করবেন? এ নিয়ে কাজিয়া ক্রমশ ছড়াচ্ছে হুড়ার খৈরি-পিহিড়া এলাকায়। শুক্রবার খৈরি-পিহিড়া নেতাজি বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা চলাকালীন রান্না করার দাবি নিয়ে কিছু মহিলা গিয়ে প্রধানশিক্ষককে তালাবন্দি করে রাখলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন। এ দিনই এই এলাকার ডুংরিগোড়া-বড়িয়াগোড়া প্রাইমারি স্কুলের রাঁধুনিদের সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে মারপিট বাধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১০
ভিতরে প্রধানশিক্ষক।—নিজস্ব চিত্র।

ভিতরে প্রধানশিক্ষক।—নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের রান্না কারা করবেন? এ নিয়ে কাজিয়া ক্রমশ ছড়াচ্ছে হুড়ার খৈরি-পিহিড়া এলাকায়। শুক্রবার খৈরি-পিহিড়া নেতাজি বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা চলাকালীন রান্না করার দাবি নিয়ে কিছু মহিলা গিয়ে প্রধানশিক্ষককে তালাবন্দি করে রাখলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তালা খুলে তাঁকে উদ্ধার করেন। এ দিনই এই এলাকার ডুংরিগোড়া-বড়িয়াগোড়া প্রাইমারি স্কুলের রাঁধুনিদের সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে মারপিট বাধে। একজন আহত হন। কয়েকজনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে যায়।

বামফ্রন্টের আমলে যাঁরা স্কুলে স্কুলে রান্নার কাজ করতেন তাঁদের সঙ্গে সম্প্রতি পঞ্চায়েত থেকে স্কুলগুলিতে রান্না করার দায়িত্ব দেওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের মধ্যে বিরোধ বেধেছে। স্বাভাবিক ভাবে এতে রাজনীতির রং-ও লেগেছে। এর জেরে এই এলাকার চারটি প্রাইমারি স্কুলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ রয়েছে। ফলে ছোট্কুলে দুপুরের রান্না করা খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গোলমালের খবর পেয়ে এ দিন খৈরি-পিহিড়া নেতাজি বিদ্যাপীঠে যান হুড়ার যুগ্ম বিডিও অশোক রক্ষিত। তিনি বলেন, “মিড-ডে মিল নিয়ে ওই স্কুলে একটি সমস্যা হয়েছে। আমি দুই পক্ষকে সোমবার ব্লক অফিসে আলোচনার জন্য ডেকেছি।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খৈরি-পিহিড়া এলাকার স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল রান্না করা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। সে দিন খৈরি-পিহিড়া নিম্ন বুনিয়াদি প্রাইমারি স্কুলে গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ যায়। এ দিন রান্না করার দাবি নিয়ে খৈরি-পিহিড়া নেতাজি বিদ্যাপীঠে যায় স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা। তাঁরা প্রধান শিক্ষক অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দেখা করে দাবি জানান। এরপরেই প্রধান শিক্ষকের অফিসের দরজার বাইরে তালা দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, “ওই মহিলাদের সঙ্গে কিছু পুরুষ এসেছিলেন। তাঁরা স্কুলে না ঢুকলেও আমার অফিসের দরজায় তালা দেওয়ার জন্য তারা বাইরে থেকে উস্কানি দেয়।”

এতদিন রান্নার কাজ করে যাওয়া লুসকি বাউরি, নন্দরানি লোহার, নমিতা মাহাতো, স্বর্ণলতা কুম্ভকাররা বলেন, “আমাদের স্কুলে কোনও সমস্যা নেই। এখানে আমরাই রান্না করব।” অন্য দিকে, ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য ইন্দ্রাণী গড়াই, শকুন্তলা মাহাতো, মিনতি মুর্মু প্রমুখদের দাবি, “পঞ্চায়েত আমাদেরই রান্না করার দায়িত্ব দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমাদের কাজ করতে দিতে চাননি বলে তালা দিয়েছি।”

hura mid day meal school
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy