সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অ্যাসিড ভর্তি ট্যাঙ্কার উল্টে শুক্রবার যান চলাচল ব্যাহত হয় রঘুনাথপুর-সাঁওতালডিহি রাস্তায়। পাড়া থানা এলাকায় দুবড়ার অদূরে ওই দুর্ঘটনায় ট্যাঙ্কারের নীচে চাপা পড়ে গুরুতর জখম হয়েছেন চালক। তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শান্তিচরণ সাধু নামে আহত ব্যক্তির বাড়ি পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকায়। দুর্ঘটনার জেরে এ দিন সকালের দিকে কিছু সময় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পাশের একটি রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পাড়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিয়ে দুর্গাপুর থেকে একটি ট্যাঙ্কার এ দিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাচ্ছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে কাজে লাগে ওই অ্যাসিড। পথে একটি মোটরবাইককে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ট্যাঙ্কারটি। কিছু সময় পর ট্যাঙ্কার থেকে অ্যাসিড বেরোতে শুরু করায় বিপত্তি বাড়ে। তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে ভরে যায় এলাকা। এক দিকে যেমন যাতায়াত করতে যাত্রীদের সমস্যা হয়, তেমনিই সমস্যায় পড়েন ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। তবে দুর্ঘটনাটি বসতি এলাকা থেকে দূরে হওয়ায় বিপত্তি বেশি বাড়েনি। ঘটনার খবর পেয়ে কস্টিক সোডা-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে যান বিদ্যুৎকেন্দ্রের কিছু কর্মী। রঘুনাথপুর থেকে আনা হয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। সাঁওতালডিহি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার স্বপন মাইতি জানান, কস্টিক সোডা ব্যবহার করে হাইড্রোক্লেরিক অ্যাসিডকে প্রশমিত করা যায়। এ দিন সকালে একটি ক্রেন নিয়ে ট্যাঙ্কারটিকে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা পুলিশ করলেও সফল হয়নি। পরে দু’টি ক্রেনের চেষ্টায় সন্ধ্যায় ট্যাঙ্কারটিকে সরানো সম্ভব হয়েছে।
অন্য দিকে, এ দিনই রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া সড়কে রঘুনাথপুর থানা এলাকায় চিনপিনা রেলগেটটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রেলগেটের একটি তার ছিঁড়ে যাওয়ায় গেটটি পড়ে যায়। ব্যস্ত রাস্তায় গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়িগুলিকে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়েছে। আদ্রা থেকে রেলকর্মীরা চিনপিনা গেটে গিয়ে মেরামতির কাজ করার পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।