রাঙিয়ে দিয়ে যাও।
রঙের মেলা আজ শান্তিনিকেতনে। বসন্তের রং, দোলের রং সব মিলেমিশে একাকার। লাল পলাশ, ঝরা পাতা আর আবির খেলা জানান দিচ্ছে শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের সূচনা। কোথাও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। পাশের মেয়েটির গালে আবিরে রাঙা করে দিলে সে ‘রাঙা’ হবে ঠিকই, কিন্তু, রাগ করবে না। অন্তত আজকের দিনটার জন্য! আজ যে মন খোলার দিন।
ভোরে গৌরপ্রাঙ্গণের বৈতালিকে ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে...’-র মধ্য দিয়ে বিশ্বভারতীর রীতি মেনে বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনে শুরু হয়েছে বসন্ত উৎসব। লাখখানেক দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড়ে ঠাসা শান্তিনিকেতন। গোটা বোলপুর শহরের হোটেল-সজে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ রব। বছরের পর বছর ধরে অনেকে এই সময়ে আসেন এখানে। তবু তাঁদের কাছে কখনও পুরনো হয় না শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব। আশ্রম মাঠে বসে এক প্রবীণ বলছিলেন, ‘‘আশ্রমের স্মৃতি ভোলার নয়। বারবার আসি ঋতুরাজের উৎসবে। প্রতিবারই নতুন করে দেখি আর চিনি শান্তিনিকেতনকে।”
এ বার বহিরাগত পর্যটকদের জন্য বাড়তি একটি প্রবেশ দ্বার থাকায় অনেকটা বিশৃঙ্খলা এড়ানো গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এ বার উৎসবে নিরাপত্তার কড়াকড়িও চোখে পড়ার মতো। উৎসব প্রাঙ্গণে রয়েছে সিসিটিভি। সাদা পোশাকে পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন ভিড়ের সঙ্গে মিশে। অভাব অনুযোগ যে একেবারে নেই, তা নয়। অনেক পর্যটকই বললেন, শহরের মোড়ে মোড়ে গেট ম্যাপ না থাকায় তাঁদের ভোগান্তি হয়েছে মূল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে ঢুকতে গিয়ে। ঘুরপথে গিয়ে নাকাল হয়েছেন তাঁরা। মওকা বুঝে জব্বর দর হেঁকেছে রিকশাচালক।
ছবিগুলি তুলেছেন বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy