খুঁটি ভেঙে যানজট দুবরাজপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
ফের ভারী গাড়ির ধাক্কায় ভাঙল বিদ্যুতের খুঁটি। ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ বিপর্যস্ত হল বিদ্যুৎ পরিষেবা। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার ঘেঁষা দুবরাজপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। কামারশাল মোড়ের কাছাকাছি থাকা ওই বিদ্যুতের খুঁটিটি ভেঙে যাওয়ায় এ দিন বিকেল পর্যন্ত যেমন দুবরাজপুরের ইসলামপুর লাগোয়া বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে, তেমনই দীর্ঘক্ষণ ওই রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় যানজট হয়। নাকাল হন সাধারণ মানুষ। একই জায়গায় দিন কুড়ি ডাম্পারের ধাক্কায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়েছিল। এ বার খুঁটিটি ভাঙল লরির ধাক্কায়।
এখানেই শেষ নয়। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় প্রয়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন সাইকেল, মোটরবাইক আরোহী থেকে অন্য গাড়িও। বাসিন্দাদের একাংশ মনে করছেন, বার বার দুর্ঘটনার জন্য জাতীয় সড়কের উপর অবৈধভাবে তৈরি হওয়া বেশ কয়েকটি স্পিডব্রেকার দায়ী। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জতীয় সড়ক সংস্কার হওয়ায় ওই রাস্তায় যান চলাচলের গতি বেড়ে গিয়েছে। রাতের বেলায় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাঝে মধ্যেই ভারী গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তার ধারে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি। এলাকার বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর পরে রাস্তায় একধিক জায়গায় বড় বড় স্পিডব্রেকার জোর করে করিয়ে নিয়েছেন এলাকার কিছু সুবিধাবাদী মানুষ। ওই সব বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে এলাকার কিছু মানুষের চাপে এক কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে উঁচু উঁচু এমন ৯টি স্পিডব্রেকার তৈরি হয়েছে। স্পিডব্রেকার তৈরির আড়ালে রয়েছে ওই রাস্তায় চলচলকারি গাড়ি থেকে কিছু আসাধু লোকের তোলা আদায়ের কৌশল। একই বক্তব্য দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডেরও। তাঁর দাবি, “বিষয়টি জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাড়ছে তোলা আদায় আর দুর্ঘটনা।” ওই এলাকার কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা শেখ নাজিরউদ্দিনও বলেন, “অবিলম্বে স্পিডব্রেকারগুলি তুলে ফেলতে হবে। না হলে দুর্ঘটানা বা তোলা আদায় এড়ানো সম্ভব নয়।” বিদ্যুৎ দফতরের তৎপরতায় নতুন খুঁটি বসানোর পরে পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও ওই রাস্তায় উঁচু স্পিডব্রেকার দেওয়ার ফলে, এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে মনে করছেন আনেকেই। পীযূষবাবু বলেন, “আবারও পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হবে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে জতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষেরও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy