বোলপুরে সারা ভারত কৃষক সভার ডাকে পদযাত্রায় সূর্যকান্ত মিশ্র। —নিজস্ব চিত্র
সারদার কোটি কোটি টাকা নেওয়া থেকে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ-কাণ্ড সবেতেই তৃণমূলের যোগ বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকারের তুলোধনা করেন। সারা ভারত কৃষক সভার ডাকে বুধবার সকালে বোলপুরের রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতের কাঁকুটিয়া এবং রাইপুর এলাকায় পদযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ওই কর্মসূচির সূচনা করতে এসে এমনই দাবি করেন সূর্যকান্তবাবু।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, নিয়ম মেনে সব ব্লকে একশো দিনের কাজ এবং অবিলম্বে বকেয়া মজুরি প্রদান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার-সহ একগুচ্ছ দাবি পুরণে সারা ভারত কৃষক সভার ডাকে এ দিন বোলপুর ব্লকে শুরু হয় পদযাত্রা। রাজ্যব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি চলবে রবিবার পর্যন্ত। এ দিন সকালে কাঁকুটিয়া থেকে রাইপুর পর্যন্ত এবং সিয়ান-মুলুক পঞ্চায়েতের ডিহিপাড়া থেকে সিয়ান বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পদযাত্রায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। কাঁকুটিয়া বাসস্ট্যান্ড মোড় এবং রাইপুর তিন মাথা মোড়ে পথসভা করেন তিনি। এ দিনই কসবা, কামারডাঙাল, গোপালনগর, খয়রাশোল-সহ নানা জায়াগায় পদযাত্রা হয়। বিকেলে সাঁইথিয়া মুরাডিহি কলোনির বলাকা মাঠে প্রকাশ্য জনসভা করেন সূর্যবাবু। তিনি আসার আগেই মাঠ ভরিয়ে তুলেছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। শুধু মাঠ কেন? মাঠের আশ পাশের বাড়ির ছাদ ও সামনের পিচ রাস্তা জুড়েও বহু লোক এ দিন সূর্যবাবুর বক্তব্য শুনেছেন। এ দিনের সভা থেকে চলতি বছর ১৬ মে থেকে সমস্ত রকমের লেনদেন বন্ধ থাকা বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ১৭টি শাখা এবং ৩৩১টি সমবায় সমিতির কাজকর্ম অবিলম্বে চালু করা এবং আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কৃষক পেনশন ও আদবাসী পেনশন বকেয়া মেটানোর দাবি তুলেছে কৃষক সভা।
সাঁইথিয়ায় জনসভায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ঢল দেখে সিপিএমের সর্বভারতীয় কৃষক সভার নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বক্তব্যকে দীর্ঘায়িত করেন। মাঠভড়া জনতা দেখে উব্দুগ্ধ সূযর্বাবু। তিনি বলেন, “১০০ দিন প্রকল্পে দেশের অধিকাংশ ব্লককে বাদ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে সারা দেশে ১০০ দিন প্রকল্প চালু করতে হবে।” যাঁরা এই প্রকল্পে কাজ করে সময় মত মজুরি পাচ্ছেন না, সঠিক সময়ে তাঁদের মজুরি মেটানোর দাবি জানান। তিনি দাবি করেন, “যে কাজ করছে তার আয় কমেছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন বিত্তদের হাতে পয়সা নেই। তার ফলে ভালভাবে দোকান চলে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy