Advertisement
E-Paper

হুড়ার নির্যাতিতার জবানবন্দি গ্রহণ

আদালতে গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করা হল হুড়া থানার কলাবনী গ্রামের গণধর্ষণের অভিযোগ তোলা সেই নির্যাতিতার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ওই সন্ন্যাসিনি পুরুলিয়া জেলা আদালতে উপস্থিত হয়ে গোপন জবানবন্দি দেন। তাঁর আইনজীবী দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিআরপিসির ১৬৪ ধারা মোতাবেক ওই মহিলা গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন বিচারকের কাছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৩

আদালতে গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করা হল হুড়া থানার কলাবনী গ্রামের গণধর্ষণের অভিযোগ তোলা সেই নির্যাতিতার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ওই সন্ন্যাসিনি পুরুলিয়া জেলা আদালতে উপস্থিত হয়ে গোপন জবানবন্দি দেন। তাঁর আইনজীবী দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সিআরপিসির ১৬৪ ধারা মোতাবেক ওই মহিলা গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন বিচারকের কাছে।

এ দিকে পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করে মামলা রুজু করলেও তিনদিন পার হয়ে গেলেও অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে কাউকেই এখনও ধরতে পারেনি। যদিও তিনজনের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির নাম পরিচয় পুলিশকে জানাতে পারেননি নির্যাতিতা। তিনি কলাবনী এলাকার তৃণমূল নেতা বিপ্লব মণ্ডল ও ওই পঞ্চায়েতের চৌকিদারের ছেলে তাবুল সর্দারের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, তাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কলাবনী পঞ্চায়েত ভবনের দোতলায় ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তিনজনে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরের দিন থেকে নির্যাতিতা কয়েকবার হুড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তারা গ্রহণ করেনি বলে তাঁর অভিযোগ। এরপর ২ ডিসেম্বর তিনি পুরুলিয়া মহিলা থানায় গেলেও অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে তাঁর দাবি। পরে তিনি পুলিশ সুপারের অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। হইচই হওয়ায় শেষে পুলিশ মামলা শুরু করে।

রবিবার কলাবনী গ্রামে গিয়ে দেখা গিয়েছে, গ্রামের রাস্তায় জটলায় বা আড্ডায় ঘটনাটি নিয়েই আলোচনা চলছে। এ দিন বিপ্লব মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দেখা মেলেনি। তাঁর স্ত্রী মীরা মণ্ডল দাবি করেন, “আমার স্বামী এমন ঘটনায় কোনও ভাবেই জড়িত থাকতে পারেন না। তিনি কোনও চক্রান্তের শিকার।” বিপ্লবের বোন রীতা মণ্ডলের দাবি, “দাদা বাড়িতে নেই। কলকাতায় গিয়েছে। কবে ফিরবে জানি না।” তাবুল সর্দারের বাড়ির লোকজনও জানিয়েছেন, সে বাড়িতে নেই। গ্রামবাসী জানিয়েছেন, রাত-বিরেতে বা দিনে-দুপুরে গ্রামে পুলিশের গাড়ি ঘুরছে। ফলে গ্রামে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এ দিন ওই আশ্রমে গিয়ে নির্যাতিতা বা তাঁর সঙ্গীরও দেখা মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

hura gang rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy