পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। ফল বেরোনোর মুখে ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল! জানা গেল, নার্সিং ও ফিজিওথেরাপিতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত পরীক্ষার দিনে প্রার্থীদের একাংশের হাতে পৌঁছেছিল পশুচিকিৎসার প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র!
ঘটনাটি ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের ১২১ জন প্রার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবং তারই জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে ফলপ্রকাশ। ১৬ জুলাই ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে ওই প্রার্থীদের। তার এক সপ্তাহের মধ্যে ফল ঘোষণার চেষ্টা করা হবে বলে জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।
কিছু দিন আগেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায় প্রশ্ন-বিভ্রাটের জেরে। তার একটি ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানার ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। অন্য ক্ষেত্রে দোষারোপ করা হয় পরিদর্শকদের। কিন্তু যারা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা ও প্রেসিডেন্সির মতো নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পরীক্ষা নেয়, সেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের নেওয়া নার্সিং প্রবেশিকায় প্রশ্ন-বিভ্রাট কেন, উঠছে প্রশ্ন। ঠিক কী ঘটেছিল?
জয়েন্ট বোর্ড সূত্রের খবর, ২৮ মে নার্সিং, ফিজিওথেরাপি, অডিওলজি ইত্যাদির প্রবেশিকায় বসেছিলেন প্রায় ১৪ হাজার প্রার্থী। জিয়াগঞ্জের একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর পরে দেখা যায়, দু’টি ঘরে ১২১ জন পরীক্ষার্থীর হাতে ভুল প্রশ্নপত্র পৌঁছেছে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে ওই দিনের পরীক্ষার কথা লেখা থাকলেও আদতে প্রশ্নগুলি ছিল পশুচিকিৎসার প্রবেশিকার। বোর্ডের এক কর্তা জানান, ছাপাখানা থেকেই ভুল হয়েছিল। প্রতি বছর জুনের মাঝামাঝি নার্সিং জয়েন্টের ফল বেরোয়। অগস্ট নাগাদ ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু এ বছর কবে ফল বেরোবে, নিশ্চিত করে তা বলা যাচ্ছে না।
ছাপাখানার দায়িত্বে থাকা কর্তার বিরুদ্ধে বোর্ড তদন্ত করছে কি?
‘‘আমি এখন কিছু বলব না,’’ জবাব জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy