রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে এ কে সিংহ দায়িত্ব নেওয়ার পরে মে মাসে ৭টি পুরসভার ভোট গণ্ডগোলে উত্তপ্ত হয়েছিল। সেই ঘটনার জের টেনেই আসন্ন আরও ৭টি পুরসভার ভোট নিয়ে সর্বদল বৈঠক মাঝপথে কার্যত ভেস্তে গেল!
কমিশনের তরফে শুক্রবার বিরোধীদের জানানো হয়েছে, ধূপগুড়ি, বুনিয়াদপুর, কুপার্স ক্যাম্প, পাঁশকুড়া, হলদিয়া, দুর্গাপুর ও নলহাটি পুরসভার নির্বাচন হবে ১৩ অগস্ট। বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৭ জুলাই। বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস এবং বিজেপি-র কেউ এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না। বামেদের তরফে রবীন দেব, সুখেন্দু পানিগ্রাহি, সুকুমার ঘোষ, প্রবীর দেব, দেবব্রত রায়েরা বলেন, ১৩ অগস্ট ভোট এবং ১৭ তারিখ গণনা হলে পুনর্নির্বাচনের দিন থাকছে ১৬ অগস্ট। তখন স্বাধীনতা দিবসের নানা অনুষ্ঠান থাকে। তাঁদের দাবি, পুরভোট যখন পিছোচ্ছেই, তা হলে আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক। তৃণমূলের শোভন চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়েরাও এই দাবিতে আপত্তি তোলেননি। কমিশনার অবশ্য ভোট আরও পিছনোর কথা বলেননি। তবে বিবাদ বাধে এর পরে।
বাম নেতাদের দাবি, আচরণবিধি ভঙ্গ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বোঝাচ্ছিলেন কমিশনার। কিন্তু তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, মে মাসে পুরভোটের সময় কোথায় ছিল কমিশন? এমনকী, ভোটের দিন বিরোধীদের সঙ্গে দেখা করার ‘সৌজন্য’ও দেখাননি কমিশনার। বিতণ্ডার মধ্যে বৈঠক শেষ করে দেন কমিশনার। তিনি অবশ্য বাইরে মুখ খোলেননি। পরে সুখেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘তৃণমূল নেতাদের ইশারায় কমিশনার বৈঠক বন্ধ করে দিলেন। মোট ১২টি আলোচ্যের মধ্যে পাঁচ নম্বরে এসেই বৈঠক শেষ!’’ যদিও তৃণমূলের তাপসবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘বৈঠক তো অসম্পূর্ণ নয়! বিষয় ধরে ধরেই আলোচনা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy