সরকারি মডেল স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। কিন্তু কবে পিএসসির শিক্ষক আসবেন তা প্রায় কেউই বলতে পারছে না। তাই আপাতত অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত।
প্রতীকী ছবি।
ঝাঁ চকচকে বাড়িতে শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব আর চেয়ার-টেবিলে খামতি নেই। কিন্তু নামেই মডেল মাদ্রাসা। শিক্ষক না থাকায় ধুঁকছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া জেলার একমাত্র সরকারি মডেল হাই মাদ্রাসা। একের পর এক অভিভাবক বাচ্চাকে সরিয়ে নিয়ে ভর্তি করাচ্ছেন অন্য স্কুলে। এই পরিস্থিতিতে জেলা মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা কোনও স্বনির্ভর দলের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের ১২ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে শিক্ষাবিদদের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়তে এই নিয়ে সমালোচনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সরকারি মাদ্রাসা এবং স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে দিল কমিশন? তাহলে কি পিপিই মডেলে এ বার হবে শিক্ষক নিয়োগ?
প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারি মডেল স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। কিন্তু কবে পিএসসির শিক্ষক আসবেন তা প্রায় কেউই বলতে পারছে না। তাই আপাতত অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত।
প্রায় ১২ কোটি টাকা খরচ করে বছর পাঁচেক আগে চালু হয়েছিল পাঞ্জিপাড়ায় ইংরেজি মাধ্যম সরকারি মডেল এই মাদ্রাসা। মাদ্রাসা ভবন শিলিগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন। এলাকার একমাত্র সরকারি ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা বলে বাচ্চাদের পড়াতে আগ্রহী হয়েছিলেন অনেক অভিভাবকই। গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, ইসলামপুর এমনকি, মহকুমার বাইরে থেকেও অনেক অভিভাবক তাঁদের বাচ্চাদের ভর্তি করেছিলেন। কিন্তু ওই মাদ্রাসায় চার বছরে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ডেপুটেশনে শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের সার্বিক উন্নতির সম্ভাবনা দেখছেন না কোনও অভিভাবকই। এলাকায় বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বাংলা মাধ্যম স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মডেল মাদ্রাসা থেকে বাচ্চাদের এই স্কুলগুলিতে নিয়ে আসছেন অনেক বাবা-মা। জেলা সংখ্যালঘু দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘‘শিক্ষকের অভাবে পঠন-পাঠনে বিঘ্ন ঘটছে। তাই অতিথি শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy