E-Paper

এক বছরে মেটেনি সমস্যা, এ বারেও কি হাতে লেখা মার্কশিট

এক বছর পরে এ বারেও একই সমস্যার সম্মুখীন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, এক বছর সময় পেয়েও কেন পোর্টাল ঠিক করতে পারল না শিক্ষা দফতর? এটা কি গাফিলতি নাকি অকর্মন্যতা?

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১৭
An image of Result

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাঝে এক বছর কেটে গিয়েছে।

পড়ুয়াদের নম্বর আপলোড করতে গিয়ে পোর্টালের সমস্যা রয়ে গিয়েছে একই তিমিরে।

গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বা বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে বাংলা শিক্ষা পোর্টালের সমস্যা থাকায় পড়ুয়াদের একাংশের নম্বর আপলোড করা যায়নি। বাধ্য হয়ে তাদের মার্কশিট হাতে লিখে দিতে হয়েছিল।

এক বছর পরে এ বারেও একই সমস্যার সম্মুখীন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, এক বছর সময় পেয়েও কেন পোর্টাল ঠিক করতে পারল না শিক্ষা দফতর? এটা কি গাফিলতি নাকি অকর্মন্যতা?

যথারীতি তা মানতে নারাজ শিক্ষা দফতরের কর্তারা। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, একসঙ্গে বহু শিক্ষক পোর্টালে ঢুকতে গিয়ে বিপত্তি হচ্ছে। ঠিক যেরকম বড় বড় ফল প্রকাশের দিন হয়ে থাকে। দিন ভাগ করে এটা শিক্ষকদের করতে হবে। কিন্তু, রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষকেরা কী ভাবে নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এটা করবেন, তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি দফতর থেকে।

দু-তিন দিনের মধ্যেই বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার কথা। বেশিরভাগ স্কুলই চাইছে ২৫ ডিসেম্বরের আগে ফল প্রকাশ করতে। কিন্তু, ফের বাংলা শিক্ষা পোর্টালে পড়ুয়াদের নম্বর আপলোড করতে গিয়ে শিক্ষকদের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ফলে মার্কশিট তৈরি করতে রীতিমতো জেরবার হতে হচ্ছে তাঁদের। শিক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা, এ বার আবার হাতে লেখা মার্কশিটই দিতে হবে।

স্কুলগুলোতে তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শেষে খাতা দেখাও শেষ। শিক্ষকদের একাংশের কথায়, এখন পড়ুয়াদের নম্বর সরাসরি বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করে দেওয়া যায়। নম্বরগুলি আপলোড করে দিলে সেখান থেকে প্রতিটি পড়ুয়ার মার্কশিট তৈরি হয়। পরীক্ষার ফল বেরোনোর দিন পড়ুয়ারা সেই মার্কশিটের প্রিন্ট আউট হাতে পায়। কিন্তু পড়ুয়াদের নম্বর আপলোড করতে গিয়েই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

শিক্ষকদের দাবি, পোর্টাল খুলে পড়ুয়ার নাম, শ্রেণি, বিষয় সবই আপলোড করা যাচ্ছে। কিন্তু পরীক্ষার নম্বর আপলোড করতে গেলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘নম্বর আপলোড না হলে বাধ্য হয়েই শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের হাতে লেখা মার্কশিট দিতে হবে।’’

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘যখন পরীক্ষা থাকবে না, তখন পোর্টাল কিছুদিন বন্ধ রেখে এর স্থায়ী সমাধান করা হোক।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

School students marksheet Website negligence WB Education Education Sector

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy