Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Traffic Management

ভাঙড় ও কাশীপুরে কী ভাবে যানশাসন, পরিদর্শনে ট্র্যাফিক কর্তা

পুলিশ সূত্রের খবর, ভাঙড় এবং কাশীপুর থানার আয়তন যথাক্রমে ১২১ এবং ৯৬ বর্গ কিলোমিটার। এত বড় এলাকার যানশাসন করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মীর দরকার।

An image of Traffic

—প্রতীকী চিত্র।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৩ ০৮:১৪
Share: Save:

ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের হাতে এলে লালবাজারকে সামলাতে হবে বাসন্তী হাইওয়ের দায়িত্বও। বর্তমানে প্রগতি ময়দান দমকল কেন্দ্রের সামনে থেকে ভোজেরহাট পর্যন্ত বাসন্তী হাইওয়ের প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে। ভাঙড় ও কাশীপুর কলকাতা পুলিশের অধীনে এলে আরও দুর্ঘটনাপ্রবণ ওই হাইওয়ের ১১ কিলোমিটার অংশের দায়িত্ব যোগ হবে। সেই সঙ্গে চন্দনেশ্বর, পোলেরহাট থেকে শুরু করে ভাঙড়, কাশীপুর এলাকার ভিতরের সব রাস্তাও চলে আসবে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের অধীনে।

ওই এলাকা হাতে এলে কী ভাবে শহরের মতো যানশাসন ব্যবস্থা করা হবে, তার রূপরেখা ঠিক করতে শুক্রবার এলাকা ঘুরে দেখলেন কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের ডিসি (২) অমিত নাথ। সঙ্গে ছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা। এ দিন তাঁরা বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ঘটকপুকুর পর্যন্ত যান। কথা বলেন ওই দুই থানার সঙ্গে। পরে তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডে ট্র্যাফিকের উপনগরপালের (দক্ষিণ) সঙ্গে বৈঠক করেন। কোথায় কোথায় নতুন ট্র্যাফিক গার্ড তৈরি করা প্রয়োজন, তা-ও খতিয়ে দেখেন।

সূত্রের খবর, বর্তমানে বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীন ওই দুই থানা এলাকায় মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, এলাকার বিস্তারিত ম্যাপ দেখে পঞ্চায়েত এলাকার সীমানা ধরেই নতুন ট্র্যাফিক গার্ড করা হবে। বর্তমানে বাসন্তী হাইওয়ের অংশের যানশাসন করে কলকাতা পুলিশের তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ড। কর্তাদের ইচ্ছে, ওই ট্র্যাফিক গার্ড ভেঙে কেএলসি ট্র্যাফিক গার্ড তৈরি হোক। ভাঙড় এবং কাশীপুরকে নিয়ে আরও দু’টি ট্র্যাফিক গার্ড তৈরির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এক পুলিশকর্তা জানান, এলাকার বিস্তারিত ম্যাপ মিললেই সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ভাঙড় এবং কাশীপুর থানার আয়তন যথাক্রমে ১২১ এবং ৯৬ বর্গ কিলোমিটার। এত বড় এলাকার যানশাসন করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মীর দরকার। এ দিকে কলকাতার প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডেই কনস্টেবলের ঘাটতি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগিয়ে সামাল দিতে হচ্ছে। পুলিশের একাংশের অভিযোগ, নতুন এলাকায় বাহিনী পাঠাতে হলে বর্তমান ট্র্যাফিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বাহিনীর সংখ্যা কমবে। তাতেই শহরের যান চলাচল ব্যবস্থার মান পড়বে বলে পুলিশকর্মীদের একাংশের আশঙ্কা।

সূত্রের খবর, বর্তমানে ভাঙড় ও কাশীপুর থানায় অফিসারের সংখ্যা যথাক্রমে ১৫ এবং ১৪ জন। দুই থানায় রয়েছেন ৬৫ জন কনস্টেবল। এ ছাড়া আছেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। হাইওয়ে-সহ এলাকার রাস্তাঘাটের যান চলাচল ব্যবস্থা দেখাশোনা করেন সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। লালবাজারের দাবি, তারা দায়িত্ব নিলে ট্র্যাফিকের উন্নতি ঘটবে। সে জন্যই রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করেছেন কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE