সংসদে রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই
সংসদীয় দলের অনুরোধেও টলানো গেল না। কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্তে অবিচলই রইলেন রাহুল গাঁধী। বুধবার বরং আরও স্পষ্ট করে রাজীব-পুত্র জানিয়ে দিলেন, তিনি সিদ্ধান্তে অনড়। কোনও অনুরোধ-উপরোধেও যে সেই সিদ্ধান্ত বদল করা সম্ভব নয়, সে কথাও খোলাখুলি আরও এক বার বলে দিলেন রাহুল।
লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। ২৩ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর ২৫ মে পর্যালোচনা বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি)। ওই বৈঠকেই রাহুল বিপর্যয়ের দায় ১০০ শতাংশ নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু সিডব্লিউসি তাঁর ইস্তফা গ্রহণ না করে পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু রাহুল তাতে রাজি হননি। তার পরও বহু ভাবে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবাই। এমনকি, রাহুলের মা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী এবং বোন প্রিয়ঙ্কাও বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রাহুল অবস্থান পরিবর্তন করেননি।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার কংগ্রেস সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হয় দিল্লিতে। সংসদীয় দলনেত্রী সনিয়া গাঁধীর সভাপতিত্বে সেই বৈঠক হয়। সেখানেই এ দিন ফের সেই প্রসঙ্গ ওঠে। দলীয় সূত্রে খবর, সাংসদরাও বলেন, আপনি ছাড়া আর কেউ কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না।
কিন্তু রাহুল বলেন, ‘‘এটা এই আলোচনার মঞ্চ নয়। আপনারা সবাই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। কিন্তু আমি সিডব্লিউসি-কে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তো থাকা দরকার।’’ পরে দলের সাংসদ শশী তারুর ফের একই অনুরোধ করেন। কিন্তু রাহুল তাঁকেও বলেন, ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই।
আরও পড়ুন: ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হচ্ছে, এই প্রথম সর্ব সম্মতিতে
আরও পডু়ন: কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলের ‘গুন্ডাগিরি’! ব্যাট দিয়ে পেটালেন সরকারি আধিকারিককে
অন্য দিকে বুধবারই দিল্লিতে দলের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের কর্মী-সমর্থকরা রাহুলের বাড়ির সামনে জড়ো হন। ‘দেশ আপনাকে চায়’, ‘আপনাকে ছাড়া আমরা কিছুই নয়’— এই ধরনের পোস্টার-ব্যানার ছিল তাঁদের হাতে। কিন্তু তাঁদেরও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy