রাজ্যে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে কংগ্রেসের প্রস্তুতি বৈঠক। শিলিগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে এসে বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে চান রাহুল গান্ধী। তাঁর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে চলতি মাসের শেষের দিকেই বাংলায় আসার কথা রাহুলের। উত্তরবঙ্গ দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করবে ‘ন্যায় যাত্রা’। প্রাথমিক ভাবে উত্তরবঙ্গের আদিবাসী, চা-শ্রমিক, রাজবংশী, কামতাপুরি-সহ বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
মণিপুর থেকে আগামী ১৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে রাহুলের নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। যা শেষ হওয়ার কথা মুম্বইয়ে। মণিপুর থেকে শুরু হওয়া যাত্রা অসম
হয়ে কোচবিহারের বক্সীর হাটে আসার কথা ২৫ বা ২৬ জানুয়ারি। প্রথম পর্বে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে রাহুলের যাত্রা ঢুকবে বিহারে। তার পরে আবার উত্তর দিনাজপুর হয়ে বাংলায় এসে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ ঘুরে চলে যাওয়ার কথা ঝাড়খণ্ডে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাজ্যের ৭টি জেলায় পাঁচ দিন চলবে ওই যাত্রা।
রাহুলের যাত্রার প্রস্তুতির জন্য বুধবার শিলিগুড়িতে এআইসিসি নেতা কে বি বৈজু এবং বাংলায় এআইসিসি-র সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহ আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্য ও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে। বৈঠকে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী, সুমন পাল (মধ্য কলকাতার জেলা সভাপতি) এবং উত্তরবঙ্গের শঙ্কর মালাকার, পিনাকী সেনগুপ্ত, সুজয় ঘটক, মোহিত সেনগুপ্ত, বিনয় তামাং প্রমুখ। রাহুলের যাত্রা কোন পথে এগোবে, কী ধরনের ব্যবস্থা থাকবে, সে সব বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে। কিছু পথ রাহুল হেঁটে যাবেন, বাসের ব্যবস্থাও থাকবে। সূত্রের খবর, যাত্রাপথে কোন কোন জায়গায় রাহুলের সভা তাঁরা চাইছেন, সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্য ও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর পরে এআইসিসি-র দল এসে প্রস্তাবিত যাত্রাপথ ঘুরে দেখবে।
‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র আনুষ্ঠানিক প্রচারও শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। ওই যাত্রার সমর্থনে এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গি মোড় থেকে ডাকঘর মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়েছে কংগ্রেসের উদ্যোগে। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়, মুজিবুর রহমান, প্রশান্ত মণ্ডল, খাজা আহমেদ প্রমুখ। রাহুলের নেতৃত্বে ‘ন্যায় যাত্রা’কে সফল করার ডাক দিয়ে এবং ওই যাত্রার বিষয়গুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই তাঁরা পথে নেমেছেন বলে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy