কুম্ভমেলাগামী যাত্রীদের ভিড় ঘিরে নয়াদিল্লি স্টেশনে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পরে শিয়ালদহ থেকে বারাণসী, প্রয়াগরাজ স্টেশন ছুঁয়ে চলে, এমন ট্রেনগুলিতে সাধারণ শ্রেণির টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে রেল। শিয়ালদহ থেকে অজমের, আনন্দবিহার সম্পর্কক্রান্তি, বিকানের, রাজধানী, জম্মু-তাওয়াই হামসফরের মতো বেশ কয়েকটি ট্রেন আছে, যেগুলিতে কুম্ভমেলার যাত্রীদের ভিড় হওয়ার আশঙ্কা আছে। সব ক’টি ট্রেনের ক্ষেত্রেই আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত শ্রেণির টিকিট ‘রিগ্রেট লিস্ট’ হয়ে রয়েছে। ওই ট্রেনগুলির অপেক্ষমাণ তালিকায় যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সংরক্ষিত শ্রেণির টিকিট দেওয়া বন্ধ করেছে রেল। রাজধানী ছাড়া অন্য ট্রেনগুলির সাধারণ শ্রেণিতে যাত্রীদের যাতে অস্বাভাবিক ভিড় না বাড়ে, সে দিকে লক্ষ রাখতে নিয়মিত টিকিট বিক্রির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার দিন প্রায় ২৬০০ টিকিট মাত্র দেড় ঘণ্টায় বিক্রি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
টিকিট বিক্রির উপরে নজরদারি চালানো ছাড়াও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ওই সব ব্যবস্থা পর্যালোচনা করেন শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম। রেল সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরা এবং আরপিএফ কর্মীদের মাধ্যমে নিয়মিত ভিড়ে নজরদারি করা ছাড়াও কুম্ভমেলার যাত্রীরা উঠতে পারেন, এমন ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকেই চালানো হবে। সব ট্রেনের সময় যাতে ডিসপ্লে বোর্ডে যথাযথ ভাবে ফুটে ওঠে, সে দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখা হচ্ছে। কোন প্ল্যাটফর্মে কোন ট্রেন দেওয়া হচ্ছে, সেই তথ্য জানানো ছাড়াও এক বার প্ল্যাটফর্মের নম্বর ঘোষণা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিড় সামলাতে আরপিএফ কর্মীদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করা ছাড়াও ২৪ ঘণ্টার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখার কথা জানানো হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে পানীয় জল, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ রাখার পাশাপাশি যাত্রীদের যাতায়াতের পথ পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে। বয়স্ক যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ব্যাটারিচালিত গাড়ির জোগানও বাড়ানো হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)