নাম তিতলি বা প্রজাপতি হলে কী হবে, সেই নতুন অতিথির রক্তচক্ষু দেখে প্রমাদ গুনছে বাংলা-ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ। বঙ্গোপসাগরের সুগভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে তিতলি নামে সেই ঘূর্ণিঝড়। আজ, বুধবার গভীর রাতে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল দিয়ে তার স্থলভূমিতে ঢোকার কথা।
তবে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, স্থলভূমিতে ঢোকার পর থেকেই দ্রুত শক্তি ক্ষয় হতে থাকবে তিতলির। শক্তি ঝরাতে ঝরাতেই সে রওনা দেবে গাঙ্গেয় বঙ্গের দিকে।
পাকিস্তান এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে তিতলি। কিন্তু এই প্রজাপতির ডানার স্পর্শ আর কোমল থাকছে না। বরং তার ঝাপটা বেশ জোরালো হতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবার রাতেই ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দিঘা-সহ উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জলক্রীড়া দূরের কথা, আপাতত সমুদ্রে নামতেই নিষেধ করা হয়েছে পর্যটকদের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরের ব্যাপারটা ঘটেছে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ। তার পরে তিতলির আরও শক্তি বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ বাড়তে থাকে পুজোকর্তাদের। প্রশ্ন জোরদার হতে থাকে, তা হলে কি উৎসব ভেসে যাবে বৃষ্টিতে?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ, বুধবারেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হবে। কাল, বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বাংলার বেশির ভাগ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে শুক্রবারেও। তবে দেবীর বোধনের আগে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই আশা করছেন আবহবিদেরা।