—ফাইল চিত্র।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। অতিরিক্ত ফলনের জেরে যাতে চাষিরা সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য সরাসরি আলু কেনার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু ১ মার্চ থেকে আলু কিনতে মাঠে নামার কথা থাকলেও তা শুরু হয়নি এখনও। ইতিমধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জমি থেকে তোলার মুখে আলুর ফলন রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ নানা জেলার চাষিদের। সে কারণে কেনার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়েছে বলে কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের দাবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘দুর্যোগের জন্য চাষিরা মাঠ থেকে আলু তুলতে পারেননি। হিমঘরগুলিও এখনও সে ভাবে খোলেনি। তাই আশা করছি, দিন দু’য়েকের মধ্যে আলু কেনা শুরু হবে।’’
কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে ১৭ মার্চ পর্যন্ত আলু কেনার কথা ছিল। তা আরও সাত দিন পিছনো হতে পারে।
দর না থাকায় গত মরসুমে হিমঘরে আলু রেখে অনেকেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ আলু ব্যবসায়ী সমিতির। এ বার উপযুক্ত আবহাওয়ায় ভাল ফলনের ইঙ্গিত মেলার পরেই আলুর লাভজনক দাম পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতিতে সরকার ১০ লক্ষ টন আলু কিনবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কুইন্টাল প্রতি ৫৫০ টাকা দরে এক জন চাষি সর্বাধিক ২৫ কুইন্টাল আলু সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় নথি দেখে ব্লক প্রশাসন চাষিদের নাম নথিভুক্ত করে হিমঘরে পাঠাবে। সেখানে চেকে আলুর দাম মেটানো হবে। হিমঘরেই আলুর মান দেখে নেবেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। ৫০-১০০ মিলিমিটার ব্যাসের জ্যোতি আলু কেনা হবে।
কিন্তু সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে আলুর ফলনে বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান, হুগলি-সহ রাজ্যের নানা জেলার চাষিদের। এই পরিস্থিতিতে গুণমান বজায় রেখে আলু কেনা সম্ভব কি না, ধন্দ দেখা দিয়েছে। ‘পশ্চিমবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতি’র পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক সুনীল ঘোষের কথায়, ‘‘নির্ধারিত মানের আলু পাওয়া এখন খুবই মুশকিল। ভাল রোদ না উঠলে কী হবে বলা যাচ্ছে না।’’ ‘রাজ্য হিমঘর মালিক সমিতি’র নেতা কৌশিক কুণ্ডুও বলেন, ‘‘বৃষ্টির পরে আলুচাষের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy