Advertisement
E-Paper

গণবিবাহ দেবেন রাজ্যপাল! দায়িত্বগ্রহণের তৃতীয় বর্ষপূর্তির দিনে ‘সানাই বাজবে’ রাজভবনে, শুরু হল আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া

চলতি মাসের ২৩ তারিখে রাজভবনের উদ্যোগে ১০০ জন দুঃস্থ যুবক-যুবতীর বিবাহ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আবেদনগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইচ্ছুকদের আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ০০:৩৭

—প্রতীকী চিত্র।

২৩ নভেম্বর। তিন বছর আগে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। সেই দিনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ বার গণবিবাহের আয়োজন করল রাজভবন। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ২৩ তারিখে রাজভবনের উদ্যোগে ১০০ জন দুঃস্থ যুবক-যুবতীর বিবাহ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আবেদনগ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইচ্ছুকদের আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতাভুক্ত নন এমন বিবাহযোগ্য যুগলের অভিভাবকেরা প্রদত্ত বিধি মেনে আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন। আবেদনে বর ও কনের নাম, ঠিকানা, পেশা, বয়সের বৈধ প্রমাণের নথি, আধার নম্বর, পিতামাতা কিংবা আইনি অভিভাবকের বিবরণ, পরিবারের বাৎসরিক আয় ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া, বিয়েতে বর-কনে ও অভিভাবকের সম্মতি রয়েছে কি না, বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কি না, সে সবেরও উল্লেখ করতে হবে আবেদনে। যদি ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে সংশ্লিষ্ট নথিও আবেদনের সঙ্গে পাঠাতে হবে। সব শেষে, আবেদনে উল্লিখিত তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই করতে গ্রামের প্রশাসনিক আধিকারিক বা কোনও গেজেটেড অফিসারের প্রদত্ত সার্টিফিকেটও আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, রাজভবন শুধুমাত্র বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং তার ব্যয়ভার বহন করবে। বিবাহিত যুগলদের প্রতীকী উপহারও দেওয়া হবে। প্রত্যেক যুগলের সঙ্গে তাঁদের বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ জন অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন। গণবিবাহের এই অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ১০০ জনের ব্যবস্থা থাকবে। peaceroomrajbhavan@gmail.com, generalcellgs@gmail.com

এবং specialcellgs@gmail.com – এই তিন ঠিকানায় ইমেল মারফত, ডাকযোগে কিংবা রাজভবনে গিয়েও আবেদনপত্রগুলি জমা দেওয়া যাবে।

ঐতিহ্যবাহী রাজভবনে এর আগেও বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে৷ তবে এর আগে কখনও গণবিবাহ হয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। তা হলে হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? রাজভবনের ব্যাখ্যা, রাজ্যপাল পদে সিভি আনন্দ বোসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজ্যবাসীর জন্য এমন কিছু কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছিল, যা একাধারে গঠনমূলক এবং কল্যাণকর। তাই শেষমেশ গণবিবাহের বিষয়টি বেছে নেওয়া হয়েছে।

Raj Bhavan CV Ananda Bose
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy