Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মুখ্যসচিবকে পাহাড়ের ভার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, এর জন্য আলাদা করে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:১৭
Share: Save:

উন্নয়নের মাধ্যমে পাহাড়ের মন জয় করার চেষ্টা গত দু’বছর ধরে অনেক বারই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও পাহাড়বাসীর বড় অংশ যে তাঁকে পছন্দের তালিকায় রাখেনি, সেটা খোলাখুলি স্বীকারও করেছেন তিনি। অথচ এই সময়ের মধ্যে কখনও বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সামনে রেখে, কখনও রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে পাহাড়কে সামলাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনের পরে দেখা যাচ্ছে, এই প্রচেষ্টার নিট ফল শূন্য। ফলে এ বার সরাসরি রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে জিটিএ এলাকা দেখভালের দায়িত্ব দিলেন তিনি।

রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, এর জন্য আলাদা করে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকের সময়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজীব আমাদের নতুন মুখ্যসচিব। উনি খুব ভাল কাজ করেন। বিভিন্ন দফতরে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাহাড়টাকে ভাল জানেন। জিটিএ এলাকার সমস্ত কাজের জন্য আমি ওকে বলেছি।’’

২০১৭ সালে বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের শেষে বিনয় তামাং জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক প্রধান হন। তখন এক দিকে তিনি, অন্য দিকে প্রধান সচিব, তা ছাড়াও জেলাশাসকের দফতর এবং ১৫টি উন্নয়ন বোর্ড— বহু ভাগে কাজের দায়িত্ব ভাগ হয়ে যায়। এখন অভিযোগ উঠেছে, দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। সকলেই আলাদা রিপোর্ট পাঠাত নবান্নে। কিন্তু একযোগে সার্বিক রিপোর্ট পাঠানোর মতো কেউ ছিল না, দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের লোকজনই।

এতে কোনও কাজই ঠিক ভাবে হয়নি বলে দাবি।

রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এর সঙ্গে পুলিশের তৎপরতাও ছিল বড় বিষয়। বিরোধীরা দাবি করে, টানা ধরপাকড়, মামলা দিয়ে পাহাড়ে দমননীতি চালিয়েছে পুলিশ। ফলে ছাইচাপা আগুনের মতো অসন্তোষ রয়ে গিয়েছে। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলেও এই নীতি কিছুটা বদলানো দরকার, মানছেন প্রশাসনিক কর্তাদের কেউ কেউ। চাহিদা আরও রয়েছে। এর সঙ্গে কোথাও চাকরি দরকার, কোথাও পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করা জরুরি।

প্রশাসনের ওই কর্তা জানান, এই সব কিছুতে সার্বিক নজরদারির জন্য কোনও একজনের হাতে দায়িত্ব থাকা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী সেই দায়িত্বই দিয়েছেন মুখ্যসচিবের হাতে। তিনি বলেন, ‘‘এখানে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মোটের উপরে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দূরে রাখলেন। হয়তো

তিনি মনে করছেন, রাজনৈতিক নেতাদের মাঠে নামালে হিতে বিপরীত হতে পারে।’’

পাহাড়ে প্রশ্ন, এই পরীক্ষা সফল হবে কি? তৃণমূল নেতারা

জবাব এড়িয়ে গিয়ে বলছেন, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Chief Secretary Nabanna GTA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE