বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর তেমন সাড়াশব্দ ছিল না। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি এখন নদীর পাড়ে বসে জল মাপছি।’’ তিনি চুপ থাকলেও তাঁকে কেন্দ্র করে জল্পনা অব্যাহত ছিল। দীর্ঘদিন বাদে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বুধবার সেই জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
মুকুল এ দিন গিয়েছিলেন ফুরফুরা শরিফে পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা একান্তে প্রায় আড়াই ঘণ্টা কথা বলেন। ওই বৈঠকের পর নতুন দল তৈরি করার সম্ভাবনা নিয়েও মুকুল ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৭ থেকে ’৬৭ পর্যন্ত এক জন পশ্চিমবঙ্গের সেচমন্ত্রী ছিলেন। কেউ তাঁর নাম জানত না। তিনি ভোটের তিন মাস আগে দল ছে়ড়ে একটি দল গঠন করে কংগ্রেসকে দু’-দুবার ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন। সময় নিয়েছিলেন তিন মাস। তাঁর নাম অজয় মুখোপাধ্যায়। আমি একটা ইতিহাস বললাম।’’ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তা হলে কি আপনার বক্তব্যের ভাব সম্প্রসারণ করে নেব? মুকুল বলেন, ‘‘ইতিহাসের কোনও সম্প্রসারণ হয় না।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই মুকুল কী করতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ফুরফুরা শরিফে তিনি ‘দোয়া নিতে’ এসেছিলেন বলে মুকুল জানিয়েছেন। এর আগে মুকুল অনেকবারই ফুরফুরায় এসেছেন। এ দিন তাঁর ফুরফুরায় আসার বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের। কয়েক দিন আগেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ত্বহা। ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের আলোচনাও হয়েছে। উন্নয়নের প্রশ্নে ফুরফুরার সংখ্যালঘুরা রাজ্য সরকারের উপর সন্তুষ্ট নন। ত্বহা নিজে একাধিকবার সংখ্যালঘুদের এই মত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু নবান্নে বৈঠকের পর ত্বহা মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। এর পরই ফুরফুরায় মুকুলের আগমন। ত্বহা এ দিনও বলেছেন, ‘‘সংখ্যালঘুরাই বর্তমান শাসক দলকে ক্ষমতায় এনেছে। চাইলে ২০১৬-তে তারাই হারাতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy