শনিবার অয়নকে আদালতে হাজির করানো হবে। ফাইল চিত্র।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই খবর। হুগলির প্রোমোটার অয়ন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের প্রায় ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টগুলির খোঁজখবর নিচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শান্তনুর গ্রেফতারের পর পরই অয়নের ব্যাপারে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। শান্তনুর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অয়ন। এর পরই গত ১৮ মার্চ অয়নের সল্টলেকের অফিসে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর ১৯ মার্চ গ্রেফতার করা হয় অয়নকে।
শান্তনুর ‘ঘনিষ্ঠ’-এর গ্রেফতারের পরই একের পর এক তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি।
তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় উঠে আসেন অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। অয়নের প্রযোজনা সংস্থার ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। ছবিতে কাজ করার পারিশ্রমিকের বদলে অয়ন তাঁকে একটি গাড়ি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শ্বেতা। সেই পর্বের পর আরও এক অয়নের ‘ঘনিষ্ঠ’-এর নাম ঘিরে চর্চা শুরু হয়। শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এলআইসির এক প্রাক্তন এজেন্টের ব্যাপারেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাঁর বাড়িও হুগলিতে। এই আবহে এ বার অয়নের মোট সম্পত্তির ব্যাপারে তথ্য পেল ইডি। এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অয়ন। শনিবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy