শুক্রবারও বাতিল করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ ও অসমের সঙ্গে যোগাযোগকারী বেশির ভাগ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। রেল লাইনের নীচে মাটি সরে গিয়েছে। বোল্ডার বা পাথর এনে মেরামতির কাজ তাড়াতাড়ি করা গেলেই ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের দাবি। কিন্তু শুক্রবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে সেই কাজ থমকে গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, এ দিন সকালে কাটিহার-বারসই শাখায় লাইন মেরামতির পরে কোনও ক্রমে সেখান দিয়ে মালগাড়ি চালিয়ে বোল্ডার আনা হচ্ছিল। আচমকাই আশপাশের মানুষ এসে মালগাড়িগুলি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি— ৭ দিন ধরে জলবন্দি রয়েছেন, কেউ খোঁজখবরটুকুও নিতে আসেনি। অবিলম্বে তাঁদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ দিন বিকেল পর্যন্ত বোল্ডার বোঝাই মালগাড়িগুলি আটকেই ছিল। তার ফলে বোল্ডারের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় মেরামতির কাজও। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, এলাকাটি বিহারের মধ্যে হওয়ায় বিহার সরকারকে ওই সব এলাকায় অবিলম্বে ত্রাণ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এর বেশি তাদের কিছু করার নেই।
রেল সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ ও অসমের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগের উন্নতি হয়নি। রেল কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, গত ৭ দিন ধরে উত্তর-পূর্ব রেলের ৭৭টি এবং পূর্ব রেলের ১৬টি মেল এক্সপ্রেস বন্ধ রয়েছে। কবে ট্রেন চলবে, তা-ও জানাতে পারছেন না রেল কতৃর্পক্ষ। হাজার হাজার যাত্রী আটকে রয়েছেন।
এই বন্যায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পরিকাঠামো যে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা রেল কর্তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু এত বড় ক্ষতির পরেও বোর্ড কর্তাদের কেউ দিল্লি থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বা গুয়াহাটিতে না-যাওয়ায় রেলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে।
রেল কর্তাদের একাংশ বলছেন, ‘‘দিল্লির ঠান্ডা ঘর থেকেই তাঁরা একের পর এক নির্দেশ দিয়ে চলেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy