হাসপাতালে সময় না দিয়ে চেম্বারে বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা চলবে না— এই ‘অনুরোধ’ নিয়ে চেম্বারে চেম্বারে ঘুরছেন কাকদ্বীপের কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী।
অনুরোধের মোড়কে শাসানিই দেখছেন চিকিৎসকদের অনেকে। যার প্রতিবাদে শনিবার ইস্তফা দিয়েছেন কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের এক প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
ক’দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত। নেত্রীর দেখাদেখি দলের নেতা-কর্মীরা যাতে ‘দায়িত্ব’ নিয়ে নার্সিংহোম বা চিকিৎসকদের উপরে হম্বিতম্বি শুরু না করেন, সে দিকটাও মাথায় রেখেছেন মমতা। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ফোনে শাসানি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোপে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র।
কিন্তু দলের নেতা-কর্মীরা অতি সক্রিয়তা দেখাতে পারেন বলে আশঙ্কাটা রয়েইছে। কাকদ্বীপে দেখা যাচ্ছে তারই প্রতিফলন। গাফিলতিতে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে সপ্তাহখানেক আগে উত্তেজনা ছড়ায় কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালের রোগীদের সময় না দিয়ে বাইরে চেম্বারের অভিযোগ ছিল কিছু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাই হাসপাতাল-সংলগ্ন চেম্বারগুলিতে গিয়ে ডাক্তারদের সেখানে না বসতে অনুরোধ করছে তৃণমূল। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল চত্বরে এক দোকানে হাসপাতালের চিকিৎসক রোগী দেখছিলেন। শ’খানেক লোক নিয়ে সেখানে হাজির হন কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পরিমল গিরি। তিনি বলেন, ‘‘সে দিনের ঝামেলার পরে সরকারি ডাক্তারদের সমস্ত চেম্বারে গিয়ে বলে এসেছিলাম, প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখতে হবে। রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত এ কথা মানতে হবে। তা অনেকেই শুনছেন না।’’
আরও পড়ুন: বেচাল হলে ছাড় পাবে না নিজস্ব চেম্বার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy