ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বার বার। কোথাও অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, কোথাও আবার মৃত্যু হয়েছে অনেক বুথ স্তরের আধিকারিকের (বিএলও)। ‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের’ প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বিএলও-দের একাংশ। রাজ্যের বহু জেলায় এসআইআরের ‘আতঙ্ক’ প্রাণও হারিয়েছেন বহু। এই আবহে একটি সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের এসআইআর-এর বিশেষ পর্যবেক্ষক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত গুপ্ত। সোমবার ১ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে একটি আলোচনাসভার ডাক দিয়েছেন তিনি। যেখানে যে কেউ তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন। এই মর্মে একটি বিবৃতি দিয়ে তা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা রয়েছে, আগামী সোমবার যে কোনও রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং ব্যক্তি ওই আলোচনাসভায় যোগ দিতে পারবেন। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে ওই সভা চলবে। উপস্থিত থাকবেন সুব্রত গুপ্তও। এই সভায় এসআইআর সংক্রান্ত যে কোনও প্রশ্ন, অভিযোগ বা অনুযোগ থাকলে সে বিষয়ে তিনি সকলের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন:
অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রতকে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের ২৪ নির্বাচনী জেলায় ১২ জন আইএএস আধিকারিককে নিয়োগ করেছে তারা। পর্যবেক্ষক হিসাবে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটার তালিকা তৈরির উপর নজরদারি চালাবেন ওই আধিকারিকেরা।
‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের’ প্রতিবাদে গত সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের দফতরে বিক্ষোভ দেখান বিএলও-দের একাংশ। বিক্ষোভকারী বিএলও-রা রাজ্যের সিইও মনোজের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট না-থাকায় দেখা করতে রাজি হননি সিইও। তার পর ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র ১৩ জন সদস্য রাতভর ধর্না চালিয়ে যান। যদিও অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী ওই সংগঠনটির তরফে যাঁরা অবস্থানে বসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই বিএলও নন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার তিন বিএলও-র সঙ্গে দেখা করেন সিইও। বাকি আন্দোলনকারীরা অতিরিক্ত সিইও-র কাছে দাবিপত্র দিয়ে ধর্না তুলে নেন। বিএলও-দের অবস্থানের জেরে মধ্যরাত পর্যন্ত নিজের দফতরেই আটকে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। সোমবারের ঘটনাকে সিইও দফতরের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসাবেই দেখছে কমিশন।