মাখড়ায় নিহত শেখ তৌসিফের দিদি ময়না বিবির কান্না থামাচ্ছেন রূপা। —বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বিজেপি কর্মী শেখ তৌসিফ খুনের ঘটনার অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পাড়ুইয়ে এসে সুর চড়ালেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সাত্তোরের নির্যাতিতা গৃহবধূর উদাহরণ টেনে রূপার হুঁশিয়ারি, “হাইতুন্নেশার মতো আমরা সকলে উঠে দাঁড়াব। বসে বসে আর মার খাব না। অন্যায় সহ্য করব না।”
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর পাড়ুই থানার মাখড়ায় খুন হন তৌসিফ। পরিবারের তরফে অভিযোগ ছিল, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে তৌসিফকে খুন করানো হয়েছে। বিজেপির তরফে অভিযোগের আঙুল ছিল তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মীর দিকে। এ দিকে, ওই ঘটনার দিনেই খুন হন তৃণমূল নেতা শেখ মোজাম্মেল। বিজেপির বরাবরের দাবি, জনরোষের বলি হয়েছেন এই তৃণমূল নেতা।
মোজাম্মেল খুনের পরেই পুলিশ গ্রেফতার করে তৌসিফের বাবা শেখ শওকত আলিকে। এ দিন সেই ঘটনা পরম্পরাই উঠে আসে রূপার বক্তব্যে। রূপার অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের কথা মতো পুলিশ বেছে বেছে বিরোধীদের গ্রেফতার করছে। মিথ্যা মামলায় হেনস্থা করছে। ঘরে ঘরে ১৫, ২০, ৩০, ৪০টা কেস। রাতের বেলা তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করছে।’’ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও বিঁধতে ছাড়েননি এই নেত্র্রী।
পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার। এসপি-র সাফ জবাব, ‘‘বেছে বেছে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেফতারের অভিযোগ ঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’ যদিও তেমনটা মানছে না তৌসিফের পরিবার। তাদের দাবি, ছেলে খুনের অভিযুক্তেরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ দেখেও দেখছে না!
এ দিনের সভা শেষে পাড়ুই থানার ওসি দেবব্রত সিংহের সঙ্গে দেখা করেন রূপা। কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি ওই পুলিশ অফিসার। এ দিনের স্মরণ সভায় তৌসিফের দিদি ময়না বিবি, দাদা শেখ সাবির আলি হাজির ছিলেন। জেলা ও অঞ্চল নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী স্বাগতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy