ইডির দফতরে রয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। তাঁর বিছানার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার। ছবি: শৌভিক দে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সল্টলেকে ওই তদন্তকারী সংস্থার দফতরে জেরা শুরু হতে না-হতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। দু’-দু’টো হাসপাতাল ঘোরার পরে দিনের শেষে তাঁকে ইডি-র হেফাজতে ফিরতে হলেও তেমন জেরা করতে পারেননি তদন্তকারীরা। থানায় রাত্রিবাস করতে হয়নি ওই অভিযুক্তকে। সল্টলেকে ইডি-র দফতরেই তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়। জোটে গদিওয়ালা বিছানাপত্রও।
বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার পরে রোজ ভ্যালি-প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে তোলার পরে শুক্রবার তাঁকে জেরা করার তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু শুরুতেই অসুস্থ বোধ করায় গৌতমকে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর এক্স-রে ও ইউএসজি হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গৌতমের প্রস্রাব সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে। যদিও পরীক্ষায় গুরুতর কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি বলেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। কিছু ওষুধ দিয়ে বিকেলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, এ দিন গৌতমকে বিশেষ জেরা করতে পারেননি তদন্তকারীরা।
ইডি-র তদন্তকারীরা অবশ্য ইতিমধ্যেই অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের তালিকা ও সম্পত্তির তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি রোজ ভ্যালির বিভিন্ন প্রকল্প ও বিনিয়োগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।
রোজ ভ্যালির মামলাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর এবং ব্যাঙ্কশাল আদালতে সাংবাদিক-নিগ্রহের ঘটনার পরে ইডি দফতরের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ দিন সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে রোজ ভ্যালির কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করতেই তাঁদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। রাতে থানার বদলে ইডি-র দফতরেই গৌতমকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারীরা। তাঁর জন্য সেখানেই বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে হইচই বেশি হলেও রোজ ভ্যালির তছরুপ অনেক বড় মাপের বলে তদন্তকারীদের অভিমত। কিন্তু রাজনৈতিক শিবির ওই লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে সন্দিহান। যেমন সূর্যকান্ত মিশ্র। সিবিআই এবং ইডি যে-ভাবে রোজ ভ্যালির কেলেঙ্কারির তদন্ত করছেন, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সূর্যবাবু। ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় এ দিন তিনি বলেন, “সিবিআইয়ের তদন্তের বিষয়ে না-আঁচালে কোনও বিশ্বাস নেই। তাই গ্রেফতার বা জামিন কোনওটাকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমরা চাই, দোষীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy